কলকাতা: এবারের রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগের শুরুটা খুব একটা মধুর ছিলনা। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। প্রথমেই তাদের আটকে যেতে হয়েছিল এই লিগের নতুন দল অ্যাডামাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে। তবে পরবর্তী ম্যাচে আইএসএলের ফুটবল ক্লাব ওডিশা এফসির বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিয়েছিল বিনো জর্জের ছেলেরা।
নিজেদের ছন্দ বজায় রাখার ক্ষেত্রে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের কাছে ধাক্কা খেতে হলেও ফের ঘুরে দাঁড়ায় এই ফুটবল ক্লাব। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মত শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবকেও তারা আটকে দেয় অতি সহজে। সেখান থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ড। প্রথমে নতুন দল অ্যাডামস ইউনাইটেডের কাছে আটকে গেলেও এবার তাদের পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গলের ছোটরা।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ বিকেলে বারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে তন্ময়রা। আজ দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে অভিষেক কুঞ্জম , তন্ময় দাস এবং রাজিবুল মিস্ত্রি। জলের এই অনবদ্য পারফরম্যান্সে যথেষ্ট খুশি কোচ বিনো জর্জ। উল্লেখ্য, গত কয়েক ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স থাকার দরুন প্রথম থেকেই আজ আত্মবিশ্বাসী থেকেছে মশাল ব্রিগেড। তাই বল দখলের লড়াইয়ে অনায়াসেই প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারদের পিছনে ফেলে দিতে থাকে শ্যামলরা। কিন্তু প্রথমার্ধে শেষে গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই চাপ বাড়াতে শুরু করে কলকাতার এই প্রধান। ৫০ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের হয়ে প্রথম গোল করে যান অভিষেক কুঞ্জম। তারপর ঠিক এক মিনিট যেতে না যেতেই পুনরায় গোল। এবার গোলের মুখ খুললেন তন্ময়। দুইটি গোলের দরুন অনায়াসেই চাপে পড়ে যায় অ্যাডামাস দলের ফুটবলাররা।
তাদের তরফ থেকে রক্ষণভাগ জমাট বাঁধানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ছেদ করে গোল করে যান রাজিবুল। তারপর ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ ছিল না তাদের কাছে।