হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকে ড্র লাল-হলুদের

কাজে এল না জিকসনের গোল। এবার নিজামের শহরে আটকে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত দুইটি ম্যাচে টানা জয় পাওয়ার পর শনিবার বিকেলে অ্যাওয়ে ম্যাচ…

East Bengal vs Hyderabad FC

কাজে এল না জিকসনের গোল। এবার নিজামের শহরে আটকে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত দুইটি ম্যাচে টানা জয় পাওয়ার পর শনিবার বিকেলে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল হায়দরাবাদ এফসি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-১ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হল এই ফুটবল ম্যাচ। এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করে যান জিকসন সিং। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ দলের হয়ে গোল করেন মনোজ মহম্মদ। যালফলে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের এগারো নম্বরেই থাকল ময়দানের এই প্রধান দল। উল্টোদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ পর পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল হায়দরাবাদ।

বলাবাহুল্য, এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। আসলে টানা দুইটি ম্যাচে জয় আসায় এদিন গাছিবাউলি থেকে ও পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিল সকলে। কিন্তু লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ম্যাচের প্রথম থেকেই বোঝাতে শুরু করেন এডমিলসন কোরিয়া থেকে শুরু করে রামহলুঞ্চুঙ্গার মতো ফুটবলাররা। বলতে গেলে ম্যাচের প্রথম বেশ কিছু মিনিট ব্যাপক আক্রমণাত্মক থাকতে দেখা গিয়েছিল নিজামের শহরের এই ফুটবল দলকে। কিন্তু সময় গুলোর সাথে সাথেই ছন্দ হারাতে শুরু করে হায়দরাবাদ।

   

সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই প্রবলঝাব বাড়াতে শুরু করেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলের মুখ খুলতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় মশাল ব্রিগেডকে‌। পাশাপাশি রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বারংবার ক্ষোভের মুখে ফেলেছে সমর্থকদের। প্রথমার্ধের শেষে গোলশূন্য ফলাফল থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের চাপ বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। তারপর ৬৪ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার ফ্রি-কিক সোজা গিয়ে লাগে প্রতিপক্ষের বার পোস্টে। সেই বল থেকেই জোড়ালো হেড দিয়ে গোল করে যান ভারতীয় তারকা জিকসন সিং।

তারপর সময় যত এগিয়েছে আরো ভয়ঙ্কর হয়েছে অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। কিন্তু গোলের দেখা আর মেলেনি। প্রতিপক্ষের বক্সে হানা দিয়ে বেশ কয়েকবার কোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। কিন্তু ফিনিশ করা কিছুতেই সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। তারপর ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে নন্দকুমার সেকার হোক কিংবা নাওরেম মহেশ সিং। একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি কোনও ফুটবলার। তবে সুযোগ বুঝেই আক্রমণ শানাতে শুরু করে হায়দরাবাদ দল। বিশেষ করে দেবেন্দ্র মুরগাওকার এবং প্রয়াগ শ্রীবাসরা মাঠে আসতেই যথেষ্ট চনমনে হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষ দল।

তারপর ৯০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে সমতায় ফেরান লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকা মনোজ মহম্মদ। যার কোনও জবাব ছিল না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের কাছে। আসলে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যে কতটা ক্ষতিকর সেটা যেন আজ ভালো মতোই বুঝতে পারলেন আনোয়ার আলি থেকে শুরু করে হিজাজি মাহের এবং প্রভাত লাকরার মতো ফুটবলাররা।