গত কয়েক মরসুম ধরেই রেফারিং নিয়ে বিতর্ক (Refereeing Controversy) দেখা গিয়েছে ভারতীয় ফুটবল মহলে। যারফলে, বারংবার রেফারিং নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। শাস্তি ও পেতে হয়েছে বেশ কিছু দলকে। তবে সেই সময় একাধিকবার নয়া প্রযুক্তির আনার দাবি উঠলেও খুব একটা কর্ণপাত করেনি ফেডারেশন। সময় বদলালে ও বদলায়নি পরিস্থিতি। গতবারের মতো এবারের আইএসএল মরসুমে ও ম্যাচ রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা গিয়েছে জোর বিতর্ক। বিশেষ করে কলকাতা ময়দানে দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে ভুগতে হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
সূচি অনুযায়ী গত শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল পড়শী মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সেই ম্যাচের শুরু থেকেই সাদা-কালো ফুটবলারদের দাপট ইস্টবেঙ্গল রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করলেও অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেন লালচুংনুঙ্গা থেকে শুরু করে আনোয়ার আলির মতো দক্ষ ফুটবলাররা। তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে মশাল ব্রিগেড। প্রথমার্ধের ঠিক তেমন একটি সময় গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন সাদা-কালো ডিফেন্ডাররা।
এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ সমর্থক পেনাল্টির আশা করলেও সেটি পূরণ হয়নি। নির্দ্বিধায় সেটিকে ফ্রি-কিক হিসেবে চিহ্নিত করেন ম্যাচ রেফারি হরিশ কুন্ডু। যা রীতিমত চমকে দেয় সকলকে। তবুও দলের ভালো পারফরম্যান্স দেখার আশা করেছিল লাল-হলুদ জনতা। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের একেবারে শেষের দিকে জোড়া লাল কার্ড দেখতে হয় দলের দুই দক্ষ ফুটবলারকে। যাদের মধ্যে ছিলেন নন্দকুমার শেখর এবং নাওরেম মহেশ সিং। এক্ষেত্রে তাঁদের দুজনের কার্ড দেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ও বহু বিতর্ক দেখা দেয় বিশেষজ্ঞ মহলে।
এসবের মাঝেই উঠে আসলো এক নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ম্যাচের পাশাপাশি এই আইএসএল মরসুমে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা খুশি নয় লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। যারফলে খুব শীঘ্রই রেফারিং ইস্যু নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পারে ময়দানের এই প্রধান। সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা তথা এআইএফএফের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে সেই সম্ভাবনা প্রবল থেকে প্রবলতর। অন্যদিকে, গত ম্যাচে নয়জন ফুটবলার নিয়ে ও শক্তিশালী মহামেডানকে রুখে দিয়েছে অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা।
দলের এই পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও খুশি করেছে সমর্থকদের। তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকার দরুন সাময়িক বিরতি পাচ্ছে দল গুলি। সেটি কাজে লাগিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকবে সৌভিক চক্রবর্তীদের। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ই নভেম্বর থেকে ফের অনুশীলন শুরু করতে পারে লাল-হলুদ শিবির।