চলতি ফুটবল মরশুমে খুব একটা ভালো ফল করতে পারনি লাল-হলুদ (East Bengal) শিবির। গত কয়েকবারের মতো এবার ও হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে দলের। লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে থেকেই কার্যত নিজেদের অভিযান শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। টানা তিনটি দলের এই ফলাফল দেখে যথেষ্ট হতাশ লাল-হলুদ সমর্থকরা।
ক্রমশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে তাদের। ইনভেস্টর বদলের পাশাপাশি বছর বছর দলের খেলোয়াড় বদল করেও খুব একটা ভালো ফলাফল দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দল গঠনের বাজেট ও বিদেশিদের গুনগত মান। তাই আগামী মরশুমের জন্য এখন থেকেই নতুন করে দল গঠনের কাজে নেমে পড়তে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সেক্ষেত্রে বাড়তি নজর রয়েছে বেশকিছু বিদেশিদের উপর।
উল্লেখ্য, এবারের আইএসএলে দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না হলেও সুযোগ বুঝে নিজের জাত চিনিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা। গোটা মরশুম জুড়ে মোট ১২টি গোল এসেছে তার পা থেকে। তাই আইএসএল শেষ হতেই তার সাথে চুক্তি বাড়ায় লাল-হলুদ শিবির। সেইসাথে আগামী মরশুমের জন্য ইভান গঞ্জালেসের থাকার কথাও নিশ্চিত করে দেন কর্তারা।
আসলে এবারের মরশুমে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও দুই বছরের চুক্তি থাকায়, ইভানকে আরো একটা মরশুম রাখতে চায় দল। সেইসাথে দলের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য আরো চারজন বিদেশি কে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে আগামী মরশুমে থাকবে মোট ৬ বিদেশি। কিন্তু কাদের খেলতে দেখা যাবে লাল-হলুদের জার্সিতে?
বেশকিছুদিন আগেই লাল-হলুদ সদস্যদের মনোনীত একঝাঁক তারকা ফুটবলারের পাশাপাশি বেশকিছু কোচদের নামের তালিকা ইমামি কর্তাদের কাছে পাঠায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যেখানে উল্লেখ ছিল বহু হাইপ্রোফাইল নাম। যেমন গ্ৰগ স্টুয়ার্ট, আদ্রিয়ান লুনার মতো তারকা ফুটবলাররা। কিন্তু সমস্যা হল উইশ লিস্টের একাধিক ফুটবলারের সঙ্গেই চুক্তি রয়েছে ক্লাব গুলির। তবে ট্রান্সফার ফি দিয়ে খেলোয়াড় নেওয়া হবে কিনা, সেই নিয়ে ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
তবে গত শনিবার বৈঠকের শেষে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, মূলত আইএসএলে খেলা বিদেশিদের দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে। তবে আইএসএলের না হলেও কোনও সমস্যা নেই। বহু বিদেশি প্রথমবার আইএসএলে এসেই নিজেদের জাত চিনিয়ে গিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে দলের জার্সি তুলে দেয় এখন সেটাই দেখার।