মর্যাদার লড়াই! দশমীতেই অনুশীলন শুরু লাল-হলুদ শিবিরের

সামনে কঠিন পরীক্ষা মাদিহ তালালদের। ১৯ অক্টোবর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী গতবারের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিবারই এই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনায়…

East Bengal FC training session

সামনে কঠিন পরীক্ষা মাদিহ তালালদের। ১৯ অক্টোবর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী গতবারের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিবারই এই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনায় মেতে থাকে ফুটবলের শহর তিলোত্তমা। ময়দানের দুই প্রধানের ম্যাচ কেন্দ্র করে উত্তেজনার থার্মোমিটারে চড় চড়িয়ে চড়ে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না কেউই। তবে উমা এখনও বাপের বাড়িতেই আছেন। তাঁকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে মেতে রয়েছেন আপামর বঙ্গবাসী। তবে সব ভুলে মাঠে নেমে পড়লেন লাল-হলুদ শিবিরের (East Bengal FC) ফুটবলাররা। উমা বিদায়ের দিনেই সকাল থেকে জোর কদমে চলল অনুশীলন।

ধুনুচি নাচ এবং ঢাক বাজিয়ে উৎসব মুখর আইলিগ চ্যাম্পিয়নরা

   

আই এস এলের শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পরে লিগ টেবিলের তলানিতেই রয়ে গেছে লাল- হলুদ শিবির। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন? এখনও জয়ের স্বাদ পায়নি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স এবং এর পর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মরশুমে প্রথম ঘরের মাঠে হার হতাশ করেছিল সমর্থকদের। তিন ম্যাচে হারের হ্যাট্রটিক, কোচের পদ থেকে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ইস্তফা।

প্রতিপক্ষ এক, বদলার সুযোগ শুভাশীষ-লিস্টনদের

সব ভুলে ৫ অক্টোবর শক্তিশালী জামসেদপুরের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী কোচ বিনো জর্জের দেখানো পথেই ‘ঘুরে দাঁড়ানোর’ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড। সেই ম্যাচেও পরাস্ত হয় ইসবেঙ্গল (East Bengal FC)। এবার প্রতিপক্ষ চির প্রতিদ্বন্দ্বী। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ‘মর্যাদার লড়াই’, ম্যাচ জিতে ডার্বির রং লাল-হলুদ করা এবং পয়েন্ট জেতাই এখন একমাত্র লক্ষ্য নন্দকুমার-ক্রেসপোদের।

এবার প্যান্ডেলেও সবুজ -মেরুন ছোঁয়া, খুশি ক্লাব থেকে সমর্থকরা

পঞ্চমীর রাতেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও বাগান-শিবিরের বিরুদ্ধে ম্যাচের এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তবে পুজোর ছুটি শেষ লাল-হলুদ ফুটবলারদের। আজ সকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিলেন তাঁরা। তবে নতুন কোচের নাম ঘোষণার পর এদিন তাঁদের প্রশিক্ষণ দিলেন সাইড লাইননে থাকা সেই বিনো জর্জ। অন্যদিকে মোহনবাগান শেষ ম্যাচে ময়দানের আরেক প্রধান মোহামেডান স্পোটিংকে হারিয়ে ‘মিনি ডার্বি’র রং করেছে সবুজ-মেরুন। তাই আসন্ন কলকাতা ডার্বি ম্যাচে ফলাফল কি হয় সেই দিকেই নজর রয়েছে হাজার হাজার বাংলার ফুটবল প্রেমীদের।

এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও শুরু হয়ে গিয়েছে আসন্ন ডার্বি ম্যাচের টিকিট বিক্রি। ‌বর্তমানে বুক মাই শো নামক প্লাটফর্ম থেকেই অনলাইনে ডার্বির টিকিট কাটার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে দুই দলের সমর্থকদের জন্য।