বর্তমানে সেলিব্রেশনের মেজাজে আপামর ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) জনতা। এবার একটানা দুইবার কলকাতা ফুটবল লিগ জয় করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। বলাবাহুল্য, গত সিজনে ও অনবদ্য ছন্দে ধরা দিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। বলতে গেলে অপরাজিত ভাবেই এই খেতাব নিশ্চিত করে ফেলেছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। তবে পরবর্তীতে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় চ্যাম্পিয়ন দল ঘোষণা করা নিয়ে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হলেও গত কয়েকদিন আগেই এই নিয়ে চূড়ান্ত রায় দায় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে লাল-হলুদকে গতবারের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
তারপর আজ অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম দিনেই ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত থেকে সেই ট্রফি দলের হাতে তুলে দেন মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপরেই আজ বিকেলে এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের ট্রফি নির্ধারণ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জেসিন টিকে থেকে শুরু করে সায়ন বন্দোপাধ্যায়রা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল লালকমল ভৌমিকের ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় মশাল ব্রিগেড। যারফলে টানা দুইবার কলকাতা ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি দলের সমর্থকরা।
যারফলে আজ ম্যাচের পর রং মশালের আলোয় সেজে উঠেছিল গোটা লাল-হলুদ গ্যালারি। দলের এই জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করে বিনো জর্জ বলেন, ” আমি খুশি। দুইবছর ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন আমরা। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী লিগ। নিতুদা এবং সিনিয়র দলের কোচ অস্কার ব্রুজোকে ধন্যবাদ। সিনিয়র খেলোয়াড় দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি গোলকিপিং কোচকে ও ধন্যবাদ। শুরুর দিকে দলের মধ্যে চোট আঘাতের সমস্যা ছিল। তবে আমাদের ছেলেরা ভালো খেলেছে। আমরা যথেষ্ট ভালো খেলে পয়েন্ট অর্জন করে সুপার সিক্সে এসেছিলাম। সিনিয়র দলকে সাফল্য পাওয়ানোর জন্য খেলোয়াড়দের প্রমোট করতে হবে। কিভাবে সেটা করা হবে সেই নিয়ে আমরা আলোচনা করব। “
তিনি আরও জানান, সমস্ত বড় টুর্নামেন্ট গুলিতে খেলোয়াড়দের প্রমোট করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আগামী ক্ষেত্রে হয়তো সেই বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
