মশাল জ্বললেও বাড়ল চিন্তা, ডার্বির আগে ‘অক্সিজেন’ ইস্টবেঙ্গলে

    কলকাতা সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC) আপাতত দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সোমবার (১২ অগস্ট) ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।…

East Bengal FC

short-samachar

   

কলকাতা সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC) আপাতত দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সোমবার (১২ অগস্ট) ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে জয়সূচক করলেন জেসিন টিকে। এবার ম্যাচের বিস্তারিত আলোচনায় আসা যাক।

এই ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে। চার মিনিটের মাথায় কড়া ট্য়াকলের পথে হাঁটে ভবানীপুরও। বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের মহম্মদ রোশালকে ফেলে দেন মদন মান্ডি। আর রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে কোনও ভুল করেননি। মাত্র ৬ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসিন। গোল করার পর দুই বাহু প্রসারিত করে সমর্থকদের অভিনন্দন কুড়িয়ে নেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে নির্ধারিত রেগুলেশন টাইমের পর আরও ৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোনও দলই আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।

আশা ছিল, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল পার্থক্য বাড়াতে পারবে। কিন্তু, তেমন দৃশ্য অবশ্য দেখতে পাওয়া যায়নি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও অতিরিক্ত ৮ মিনিট অতিরিক্ত দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ তৈরি করলেও, শেষপর্যন্ত আর ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। আগামী ১৮ অগস্ট ডুরান্ড কাপে ডার্বি ম্যাচ খেলতে নামবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তার আগে এই জয় যে কিছুটা হলেও দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, তা নিশ্চিন্তে বলা যেতে পারে।

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ঘরের মাঠে পরপর দুটো ম্যাচে জয়লাভ করল মশালবাহিনী। আপাতত তারা ৮ ম্যাচে মোট ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। আর সেই সুবাদে বি গ্রুপে বিনো জর্জের দল এক নম্বর জায়গাটা ধরে রাখল। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ভবানীপুরকে ‘সেকেন্ড বয়’ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল।