পাঞ্জাব ম্যাচে অনিশ্চিত জিকসন সহ এক তারকা ফুটবলার

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ক্লাবের গত সপ্তাহের পরিস্থিতি বেশ নাটকীয় ছিল। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের দুর্দান্ত জয় লাভের পর, ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে নতুন উচ্ছ্বাস…

east-bengal-fc-two-footballer-jeakson-singh-and-richard-celis-is-not-confirm-against-punjab-fc-in-isl-2024-25-session

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ক্লাবের গত সপ্তাহের পরিস্থিতি বেশ নাটকীয় ছিল। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের দুর্দান্ত জয় লাভের পর, ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে নতুন উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। একদিকে যেখানে আগের দিনগুলোতে সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে এখন তাদের মুখে শুধুই প্রশংসা। ফুটবলারদের গাড়ি ঘিরে ধরে তাদের প্রতি ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে, সাউল ক্রেসপো এবং তার সহকর্মীরা এখন সমর্থকদের মধ্যে আশার নতুন আলো হয়ে উঠেছেন।

   

মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে জয়ের পর লাল-হলুদ শিবিরের অবস্থান অবশ্য আরও উন্নত হয়েছে। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট অর্জন করে তারা এখন একাদশ স্থানেই রয়েছে। যদিও এখনও প্লে-অফে প্রবেশের জন্য তাদের জন্য আশা শেষ হয়ে যায়নি, তবুও বাকি চার ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, অন্য দলের ফলাফলের উপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে, যদি তারা পঞ্জাব এফসিকে পরাজিত করতে পারে, তবে তাদের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হতে পারে।

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ও পঞ্জাব এফসির (Punjab FC) ম্যাচটি ২২ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোট ও তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলছে। মশাল ব্রিগেডের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো জানিয়েছেন, এই ম্যাচে রিচার্ড সেলিস (Richard Celis) খেলতে পারবেন না। চেন্নাই এফসির বিরুদ্ধে খেলার সময় তিনি চোট পেয়েছিলেন, যার কারণে তিনি পঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না।

তবে, এই খারাপ খবরের মাঝে একটি ভালো খবরও আছে, তা হল মিডফিল্ডার জিকসন সিং-এর (Jeakson Singh) মাঠে ফেরার সম্ভাবনা। জিকসন সিং চেন্নাইয়িন ম্যাচের পরে চোট পেয়ে কিছুদিনের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে এখন তিনি ফিজিওর তত্ত্বাবধানে অনুশীলন শুরু করেছেন এবং পঞ্জাব ম্যাচের জন্য তার প্রস্তুতি চলছে। তার চোটের জায়গায় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, তিনি শীঘ্রই ফিট হয়ে উঠবেন।

পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে, কারণ প্রথম পর্বের দ্বৈরথে তারা পঞ্জাবকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল দলের প্রত্যাবর্তন ছিল একদিকে খুবই নাটকীয়। ৩৯ মিনিটের মধ্যে তারা ০-২ পিছিয়ে পড়লেও পরে ৪ গোল করে জয় লাভ করেছিল। সেই জয়টি এখনও সমর্থকদের মনে জীবন্ত রয়েছে, আর আশা করা যাচ্ছে, শনিবার আবারও এমন এক দুর্দান্ত ম্যাচ দেখবে তারা।

কোচ অস্কার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, যে শুধু জয় নয়, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলোয়াড়দের মনোবলও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “পঞ্জাব শক্তিশালী দল, কিন্তু আমরা আশাবাদী। আমাদের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে এবং জয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে হবে।”

তবে, ইস্টবেঙ্গলের জন্য চ্যালেঞ্জ শেষ হবে না এখানেই। তাদের সামনে আরও বেশ কিছু কঠিন ম্যাচ রয়েছে, আর এর মধ্যে তাদের দলের সকল খেলোয়াড়ের ফিটনেস এবং মনোবল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই সময়টাতে, ফুটবলারদের আহত অবস্থায় খেলতে না পারার পর, কোচের দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে, কারণ দলের মধ্যে সঠিক সমন্বয় এবং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এখন, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা শুধু জয় এবং দলের উন্নতির জন্য প্রার্থনা করছেন, কিন্তু দলটিও তাদের আস্থার জায়গা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। যদি তারা আগামী ম্যাচে পঞ্জাব এফসি-কে পরাজিত করতে পারে, তবে প্লে-অফে যাওয়ার আশা আরও শক্তিশালী হবে এবং সমর্থকদের জন্য এক নতুন উদ্যম নিয়ে আসবে।