জয়ের মধ্য দিয়ে এই নতুন মরসুম শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC)। ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের গ্ৰুপ পর্বে অনবদ্য ফুটবল খেলেছিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। এমনকি মরসুমের প্রথম সিনিয়র ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ও টেক্কা দিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। যদিও সেই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সেমিফাইনালে আটকে যেতে হয়েছিল বাংলার আরেক শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব তথা ডায়মন্ড হারবার এফসির কাছে। সেই হতাশা কাটিয়ে এবার আসন্ন সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর দলের ফুটবলাররা।
সাময়িক বিরতির পর রবিবার বিকেল থেকেই রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এদিন আনোয়ার আলি থেকে শুরু করে হামিদ আহদাদের মতো বিদেশি ফুটবলাররা উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি ব্রাজিলিয়ান তারকা মিগুয়েল ফিগুয়েরা থেকে শুরু করে মার্তন্ড রায়নার মতো দাপুটে ফুটবলারদের। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই দলের অনুশীলনে যোগদান করবেন সকল খেলোয়াড়রা। তারপর গোটা দল নিয়ে জোরকদমে দলকে প্রস্তুত করবেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো। তবে আজ প্রথমদিন থাকায় খুব একটা বেশি সময় ধরে চলেনি এই প্রস্তুতি পর্ব।
এদিন মূলত দলের ফুটবলারদের ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের দিকেই বাড়তি নজর দেন লাল-হলুদের হেড স্যার। উল্লেখ্য, গত ডুরান্ড কাপে দল দাপটের সাথে ফুটবল খেললেও ফিটনেসের দিক থেকে কিছুটা হলেও ঘাটতি ছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। নয়া বিদেশি তথা মহম্মদ রশিদ থেকে শুরু করে মিগুয়েল ফিগুয়েরা এবং কেভিন সিভিলের মতো ফুটবলাররা মাঠের মধ্যে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার সম্পূর্ণ চেষ্টা করলেও পুরোপুরি ম্যাচ ফিট ছিলেন না অধিকাংশ খেলোয়াড়রা। এবার সেই সমস্যা কাটিয়ে দলের ফুটবলারদের সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট করেই সুপার কাপ শুরু করতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল।
এছাড়াও গত কয়েকদিন আগেই দলের নতুন বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত করেছে মশাল ব্রিগেড। সেই অনুযায়ী দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোসের পরিবর্তে দলে সই করেছেন জাপানি ফুটবলার হিরোশি ইবুসুকি। কোচের কথা অনুযায়ী সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই কলকাতায় পা রাখবেন জাপানের এই দাপুটে ফুটবলার। তাঁকে নিয়েও ব্যাপক প্রত্যাশা থাকবে সকল সমর্থকদের।