সায়ন সেনগুপ্ত, কলকাতা: ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC)। সেইমতো ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ডকে পাখির চোখ করেছেন অস্কার ব্রজো। গত ৮ ই অক্টোবর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ শিবির। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল আইলিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব শ্রীনিধি ডেকান এফসি। ম্যাচের আগে থেকেই খাতায়-কলমে প্রতিপক্ষ দলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC)। মাঠেও দেখা গিয়েছিল সেই একই পরিস্থিতি। ইস্টবেঙ্গলের দাপুটে ফুটবলের সামনে কার্যত খরকুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিদেশিহীন শ্রীনিধি।
সম্পূর্ণ সময়ের শেষে চারটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় পেয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সকল সমর্থকরা। দিন কয়েক অপেক্ষা। তারপরেই আগামী ১৪ই অক্টোবর আইলিগের আরেক শক্তিশালী ফুটবল দল তথা নামধারী এফসির বিপক্ষে খেলতে নামবে মশাল ব্রিগেড। এখন এই ম্যাচের দিকেই নজর রয়েছে প্রত্যেকের। পুরনো হিসেব-নিকেশ অনুযায়ী নামধারী ম্যাচে জয় পেলে অনায়াসেই এবারের আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছে যেতে পারবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। বলতে গেলে সেই টার্গেট নিয়েই মাঠে নামবেন সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে হামিদ আহদাদরা।
তবে এবার আরও কিছুটা মসৃণ হয়ে গেল ফাইনালে ওঠার রাস্তা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ আইএফএ শিল্ডের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীনিধি ডেকান এফসি এবং নামধারী এফসি। সম্পূর্ণ সময়ের পর ৩-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে নামধারী ফুটবল দল। এক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে নামধারী এবং ইস্টবেঙ্গলের সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে মশাল ব্রিগেড। যারফলে এবারের এই টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠতে গেলে আসন্ন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal FC) পরাজিত করতেই হবে নামধারী ফুটবল দলকে।
অন্যদিকে, আইলিগের এই শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করলেই টুর্নামেন্টের খেতাব নির্ধারক ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে সৌভিক চক্রবর্তীরা। তবে নামধারীর বিপক্ষে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন লালচুংনুঙ্গা থেকে শুরু করে মহম্মদ রাওকিপরা। সেই মতো দলকে প্রস্তুত করছেন স্প্যানিশ কোচ।