সুখবর লাল-হলুদ শিবিরে, তিন মাস পর অনুশীলনে ফুটবলার

বছরের শুরুতেই একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। যা দলের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। গত ৬ জানুয়ারি, নিজেদের ঘরের মাঠে…

East Bengal FC Footballer Mohammad Rakip

বছরের শুরুতেই একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। যা দলের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। গত ৬ জানুয়ারি, নিজেদের ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে ২-৩ ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। তবে, সেই পরাজয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই হাইভোল্টেজ ডার্বিতে বাগানের (Mohun Bagan SG) বিরুদ্ধে ১-০ পরাজিত হয় মশাল ব্রিগেড। যদিও এর মধ্যে সুখবর লাল-হলুদ শিবিরের জন্য। দীর্ঘ তিন মাস পর এফসি গোয়া (FC Goa) ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন হীরা মণ্ডল (Hira Mondal)।

ইস্টবেঙ্গলের জন্য সমস্যা শুধু এই দুটি পরাজয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার আগেও ম্যাচের শেষ লগ্নে রক্ষণের ভুলের হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ড্র করে। এখন দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ১৯ জানুয়ারি অ্যাওয়ে ম্যাচে তারা মোকাবিলা করবে মানোলো মার্কুয়েজের নেতৃত্বাধীন এফসি গোয়ার সঙ্গে। এই ম্যাচটি দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের প্লে অফে টিকে থাকার এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নতির জন্য অন্যতম সুযোগ হতে পারে।

   

ইস্টবেঙ্গলের কোচ লেসলি ক্লডিয়াস সরণি তার দলের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন সংগ্রামে আছেন। দলের জন্য তিনি পূর্ণ মনোযোগ সহকারে অনুশীলন শুরু করেছেন এবং আশাবাদী যে এই ম্যাচ থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তবে, দলের চার গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার অনুশীলনে আসলেও পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। এই ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার আলি, হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তে এবং সাউল ক্রেসপো।

আনোয়ার আলি, যিনি ইস্টবেঙ্গলের একজন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার, গত মুম্বাই ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। তার অনুপস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সে গভীর প্রভাব ফেলেছে, বিশেষত ডার্বিতে তার না থাকাটা দলটির জন্য বড় একটা ক্ষতি ছিল। এখন পর্যন্ত তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এবং তার গোয়া ম্যাচে খেলার বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।

এছাড়াও, সাউল ক্রেসপো গত বছরের শেষের দিকে চোট সারাতে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। জানুয়ারির প্রথম দিকে তিনি কলকাতায় ফিরলেও এখনো পর্যন্ত তিনি ম্যাচফিট হতে পারেননি। তবে, কোচের মতে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি গোয়া ম্যাচে মাঠে ফিরতে পারেন। একই সঙ্গে, হিজাজি মাহের এবং হেক্টর ইউস্তে, যারা এদিন অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন, তবে তাদের পারফরম্যান্স খুব একটা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তারা খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না, যা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে দলের জন্য এক আনন্দের সংবাদ আছে। ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলার হীরা মণ্ডল, যিনি গত তিন মাস ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন, তিনি আবার মাঠে ফিরেছেন। তিনি নিজে জানিয়েছেন, ‘‘এতদিন পর মাঠে ফিরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই তাদের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য। আমি প্রস্তুত আছি আমার সর্বোচ্চ দিতে।’’

এখন ইস্টবেঙ্গলের সামনে কঠিন একটি পথ, তবে তারা যদি সঠিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যায় এবং পূর্ণ শক্তির সঙ্গে মাঠে নামে, তাহলে তারা আগামী দিনে ভালো ফলাফল পেতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, সঠিক সময়ে দলের চোটগ্রস্ত ফুটবলাররা পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন এবং ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াবে।