২৩ জুলাই মরসুমের প্রথম বড় টুর্নামেন্টে (Football) নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) উদ্বোধনী ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেডের (South United FC) মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। সন্ধে ৫:৩০টায় শুরু হবে ম্যাচ, তার আগে থাকবে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত মরসুমের ব্যর্থতা ভুলে, এবার নতুন পরিকল্পনায় নতুন করে পথচলা শুরু করতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো ( Oscar Bruzon)। গতবার আইএসএলের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়েও কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। এবার প্রায় নিজের হাতে গোটা দল গড়ে তুলেছেন তিনি। আর সেই দলকে প্রথম বড় পরীক্ষায় নামাতে চলেছেন ডুরান্ড কাপে।
অস্কারের মতে, “এই টুর্নামেন্টে ভুলের জায়গা নেই। চার দলের গ্রুপ। শুধুমাত্র গ্রুপ-শীর্ষে থাকলেই পরের পর্বে পৌঁছনো যাবে।” তাই প্রথম ম্যাচ থেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন ব্রুজো। তবে সমস্যা একটাই, দল এখনও পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি। পাঁচ বিদেশী ফুটবলার এসেছেন মাত্র দু’দিন আগে। ভারতীয় ফুটবলাররা কিছুদিন ধরে অনুশীলন করলেও দলগতভাবে একসঙ্গে প্রস্তুতির সময় খুবই অল্প।
স্প্যানিশ কোচ প্রতিপক্ষ সাউথ ইউনাইটেডের প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ফিটনেস লেভেল বুঝে খেলোয়াড় বাছছি। সাউথ ইউনাইটেড অনেক আগে থেকে অনুশীলন করছে। ওদের এনার্জি অনেক বেশি থাকবে। তাই মাঠে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই জিততে হবে।”
নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের ছয় বিদেশির মধ্যে প্রথম ম্যাচে তিনজনকে মাঠে দেখা যেতে পারে বলে জানান অস্কার। তাদের মধ্যে রয়েছেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস, সাউল ক্রেসপো এবং মহম্মদ রশিদ। সাউল এবং দিমি মাত্র দুইদিন আগেই অনুশীলন শুরু করেছেন। কেভিন সিভিলে ও মিগুয়েল এখনও প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাননি, ফলে তারা মাঠে নামতে পারবেন না। চোটের জন্য নেই সৌভিক চক্রবর্তী।
গত মরসুমের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন অস্কার। তবে শেষদিকে সুপার কাপে হারের ধাক্কা তাদের এগোতে দেয়নি। তবুও এবার শুরু থেকেই দল গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাই কি চাপ বাড়ছে? অস্কার বলছেন, “চাপ বলে কিছু নেই। দায়িত্ব বাড়বে ঠিকই, কিন্তু সেটাই আমাদের কাজ। সমর্থকদের প্রত্যাশা আমরা জানি। এবার সমস্ত প্রতিযোগিতায় সেরাটা দিতে নামবে ইস্টবেঙ্গল।”
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ সাউথ ইউনাইটেড প্রথমবার ডুরান্ড কাপে খেলতে নামছে। বেঙ্গালুরু সুপার ডিভিশনের দলটি মূলত তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি। কোচ কাজা মহিন্দিন ভাদুসা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “এই টুর্নামেন্ট আমাদের কাছে বড় মঞ্চ। শেখার এবং নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ। আমাদের দল তরুণ, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী।”
পাশাপাশি আইএসএলের অনিশ্চয়তা এবং সাতটি দল ডুরান্ড কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে কিছুটা সুবিধার জায়গায় আছে ইস্টবেঙ্গল। পূর্ণশক্তির স্কোয়াড নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় নামা হাতে গোনা কয়েকটি দলের মধ্যে তারা অন্যতম। কোচ ব্রুজোর কথায়, “আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি দলে। তাই এখন ম্যাচ খেলতে খেলতেই সেট আপ তৈরি হবে। যদি আইএসএল পিছিয়ে যায়, তাহলে ডুরান্ড শেষে বিশ্রামের সুযোগ থাকবে, যেটা আমাদের অনুকূলে কাজ করবে।” তাই এদিনের ম্যাচ শুধু ডুরান্ড কাপের সূচনা নয়, ইস্টবেঙ্গলের নতুন যাত্রারও সূচনা হবে। মাঠে কী হয়, সেটা সময় বলবে। তবে কোচের কথায় ভরসা আছে এবার আর ভুল করার জায়গা নেই।
East Bengal FC coach Oscar Bruzon said 3 foriegn footballer will play against South United FC in Durand Cup 2025