East Bengal vs Arkadag FK: ঘরের মাঠে আরকাদাগের কাছে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল, ব্যর্থ ডায়মান্তাকস

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে জোর ধাক্কা খেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান।…

East Bengal Falls to Arkadag FK at Home

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে জোর ধাক্কা খেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল তুর্কমেনিস্তানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আরকাদাগ এফকের সঙ্গে। পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল আন্নায়েভ ডভলেটিমিরাতের ছেলেরা। দলের হয়ে একটিমাত্র গোল পান ইয়াজগিলিচ গুরবানভ। যারফলে দ্বিতীয় লেগের আগে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পাবে তুর্কমেনিস্তানের এই ক্লাব। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচ থাকায় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন সমর্থকরা।

আসলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শেষ কয়েকটি ম্যাচে দলের অনবদ্য পারফরম্যান্স থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এএফসির মঞ্চে ও ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিল আপামর লাল-হলুদ জনতা। এদিন সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথমদিকে চনমনে মেজাজে দলের ফুটবলারদের খেলতে দেখা গেলেও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সময় এগোনোর সাথে সাথেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন আরকাদাগের ফুটবলাররা। তারপর ম্যাচের প্রায় ১৩ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করে যান গুরবানভ। যার কোনও জবাব ছিল না লাল-হলুড ডিফেন্ডারদের কাছে।

kolkata24x7-sports-News

   

প্রভসুখান সিং গিল সঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও সেটা সম্ভব হয়নি। যারফলে অনায়াসেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আরকাদাগ। তারপর থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা। জবাবে রিচার্ড সেলিস থেকে শুরু করে সাউল ক্রেসপো এবং দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের মতো ফুটবলাররা বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসলেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আরকাদাগের দুঃভেদ্য ডিফেন্স। যারফলে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। তবে পরবর্তীতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকেই মাঠে এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা। তাঁকে মাঠে এনে আক্রমণের ধার বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও গোলের মুখ খোলা কারুর পক্ষেই সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে ও গোটা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়ান মেসি বাউলি। তবুও গোলের দেখা মেলেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময় ৬ মিনিটের মধ্যেই নাওরেম মহেশ সিংয়ের ভাসানো বল থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন পিভি বিষ্ণু। কিন্তু সঠিক সময় শট নিতে ব্যর্থ হন সাউল ক্রেসপো। তারপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। যারফলে দ্বিতীয় লেগের আগে যথেষ্ট ব্যাকফুটে লাল-হলুদ শিবির।