চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ফুটবল মরসুম শুরু করার পরিকল্পনা ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। সেইমতো তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে এক্ষেত্রে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলে টেনেছিল ময়দানের এই প্রধান। তবে কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। আগের মরসুমে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেললেও এবার ছিটকে যেতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালেই। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। তবুও দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু সেখানেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা ছয়টি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
Also Read | কলকাতা লিগে ভূমিপুত্র খেলানোর প্রসঙ্গে বিষ্ফোরক প্রবীর দাস
যদিও সেই নিয়ে খুব একটা অবাক হননি সমর্থকরা। পরিবর্তে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অস্কার ব্রুজনের হাতে। সময় এগোনোর সাথে সাথেই এই নয়া ম্যানেজারের হাত ধরে নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এএফসির টুর্নামেন্টের গ্ৰুপ পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করার পর দেশের প্রথম ডিভিশন লিগেও জয়ের মুখ দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে বেশিদিন থাকেনি সেই ছন্দ। চোট আঘাতের পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার দরুন বারংবার ব্যাকফুটে চলে যায় ময়দানের এই প্রধান। একটা সময় এই দলকে নিয়ে বহু প্রত্যাশা থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে সকলের। শেষ পর্যন্ত আইএসএলে ইতিবাচক পারফরম্যান্স না থাকলেও কলিঙ্গ সুপার কাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল মশাল ব্রিগেডের।
Also Read | রক্ষণভাগ মজবুতে চেনা মুখের উপর ভরসা মুম্বাইয়ের, থাকবেন তিরি?
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। এমন পারফরম্যান্স কিছুতেই আশা করেনি ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে দলের রক্ষণভাগ। বিশেষ করে বিদেশি ডিফেন্ডারদের নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছিলেন সকলে। এই কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার খুঁজতে শুরু করে দিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। সেক্ষেত্রে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক হাইপ্রোফাইল নাম। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ইভান মিলাডিনোভিচ। বর্তমানে কাজাকিস্তানের প্রথম টায়ারের ফুটবল ক্লাব টোবল কোস্টানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন এই সার্বিয়ান ডিফেন্ডার।
সেই দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন একাধিক ফুটবল ম্যাচ। তাছাড়া নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে একাধিক শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেছে এই তারকার। সবদিক মাথায় রেখেই তাঁকে পাওয়ার জন্য আসরে নেমে পড়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। উভয় পক্ষের কথাবার্তা ও এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটাদূর। হিসাব অনুযায়ী দেখলে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এই ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে মিলাডিনোভিচের। যারফলে তাঁকে চূড়ান্ত করা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন সকলে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বর্তমানে ক্লাব কর্তৃপক্ষের অনুরোধে হয়তো দল বদলে খুব একটা আগ্ৰহ দেখাবেন না এই সার্বিয়ান তারকা। যদিও এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় বিষয়টি। তবে সেটা চূড়ান্ত হলে বিকল্পের সন্ধানে হাঁটবে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট।