গত মাসের শেষের দিকেই নিজেদের নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ব্রিগেড। স্টিফেন কন্সট্যান্টাইনকে বিদায় জানিয়ে আগামী দুই মরশুমের দায়িত্ব পেয়েছেন স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। এবার নজর দল গঠনের দিকে।
প্রথম দিকে বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নেওয়া হলেও দেশীয় ব্রিগেডকে শক্তিশালী করতে নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে একেরপর এক তারকা ফুটবলারদের প্রস্তাব পাঠানো শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। যাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের তরুন ফরোয়ার্ড রহিম আলি থেকে শুরু করে বহু যুদ্ধের নায়ক হরমনজোত সিং খাবরার মতো তারকারা। তবে সময় যতো এগোচ্ছে, বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠছে ময়দানের এই প্রধান। এক্ষেত্রে সবার আগে দলের অন্যতম তারকা ফুটবলার ক্লেটন সিলভার সঙ্গে খেলার জন্য সেকেন্ড স্ট্রাইকার নির্বাচন করার দিকেই বাড়তি নজর দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
সেই তালিকায় সবার আগে উঠে এসেছিল হায়দরাবাদ এফসির তারকা ফুটবলার সিভেরিওর নাম। শোনা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ই এই তারকা স্ট্রাইকার জাভির সিভেরিওর সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। তাই সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দলের চুক্তি পত্রে সই করতে পারেন এই ফুটবলার। সেক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভাকে সঙ্গ দিতে সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে দলে আসতে পারেন তিনি। যতদূর জানা গিয়েছে, আগামী মরশুমের দল গঠনের জন্য একাধিক স্ট্রাইকারের নাম মনোনীত করে লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে হায়দরাবাদের এই তারকা কে মনোনীত করা হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, লিগে আরও কিছু অনেক ফুটবলার থাকতে এই জাভির সিভেরিওকে কেন বেছে নিলেন সকলে? এক্ষেত্রে প্রথম কারন হিসেবে উঠে এসেছে তার গোল সংখ্যা। গত দুই আইএসএল টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ৪৫ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার মধ্যে ১২ টি গোল এসেছে এই তারকার পা থেকে। তবে সেখানেই শেষ নয়। পূর্বে দ্বিতীয় ডিভিশনের স্প্যানিশ লিগে মোট ৪৮ টি ম্যাচ খেলে ৪০ টি গোল করার ও রেকর্ড ছিল তার। যারফলে, তার দক্ষতা নিয়ে সেরকম কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
সেইসাথে ক্লেটন থাকায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে যে বড় রকমের ঝড় উঠবে তা বলাই যায়। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে, সেটি হল তার বয়স। অন্যান্য বিদেশিরা ২৮ থেকে ৩০ কোটায় খেলতে আসলেও মাত্র ২৫ বছর বয়সে ভারতে এসে প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম কেঁড়ে নিচ্ছেন তিনি। সেজন্য, আগামী মরশুমে লাল-হলুদের আক্রমণভাগে বড়সড় পরিবর্তন যে আসতে চলেছে, তা কিন্তু বলাই চলে।