এই মরসুমটা খুব একটা ভালো যায়নি মুম্বাই সিটি এফসির। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে ড্র করেই শুরু করতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। পরবর্তী ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। যারফলে জামশেদপুর এফসির পাশাপাশি শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ও আটকে যেতে হয়েছিল দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাবকে। সকলকে হতাশ করে টেবিলের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল রনবীর কাপুরের ক্লাব। কিন্তু দ্বিতীয় লেগ থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করে পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা। তবে গোয়া ম্যাচে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেদের।
হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ম্যাচ শেষ করার পর তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে। একটা সময় সেই ম্যাচে দুইটি গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হলেও সমতায় ফিরতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি জন টোরাল থেকে শুরু করে থায়ের ক্রোমাদের। তারপর শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে সুপার সিক্স নিশ্চিত করে ফেলেছিল পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নক আউটে নিজেদের নিশ্চিত করে ফেললে ও ছিটকে যেতে হয়েছিল প্রথমেই। পাঁচটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয় লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেদের।
এই হতাশা কাটিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ছিল মুম্বাই সিটির। কিন্তু গত কয়েকদিন আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে মুম্বাই সিটি এফসি। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়ে গেল এবারের সিজন। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভুলে এখন থেকেই নতুন মরসুমের জন্য পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছে সিটি ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে বেশ কিছু খেলোয়াড়দের বদল করার কথা ও উঠে আসতে শুরু করেছে ব্যাপকভাবে। সেক্ষেত্রে সবার আগে উঠে আসতে শুরু করেছে বিপিন সিংয়ের নাম। মে মাসের শেষেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি শেষ হতে চলেছে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাবের।
সেই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই আগামী মরসুমে তাঁকে দলে আনতে আগ্রহী টুর্নামেন্টের একাধিক ফুটবল ক্লাব। বিগত কয়েক মাস ধরেই সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সের নাম। তবে বর্তমানে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষিণ হয়ে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) যথেষ্ট আগ্ৰহ রয়েছে এই ফুটবলারের উপর। এক প্রস্থ কথাবার্তা নাকি হয়ে গিয়েছে উভয় তরফে। সব ঠিকঠাক থাকলে লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যেতেই পারে এই ফুটবলারকে।