অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে ড্র, হতাশ অস্কার ব্রুজন‌‌‌

গত শুক্রবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল পেট্র ক্র্যাটকির মুম্বাই সিটি এফসির (Mumbai City…

East Bengal Coach Oscar Bruzon Expresses Disappointment

গত শুক্রবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল পেট্র ক্র্যাটকির মুম্বাই সিটি এফসির (Mumbai City FC) সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের জন্য গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দশম স্থানে উঠে এল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দল। তবে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে উঠে আসলেও টপ সিক্সে স্থান করে নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলাই চলে। অপরদিকে, গত মহামেডান ম্যাচের পর কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধানের বিপক্ষে জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।

   

এদিন মুম্বাই এরিনায় ম্যাচ থাকলেও প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বলতে গেলে প্রথম কোয়ার্টার থেকেই গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করতে শুরু করেছিল নাওরেম মহেশ সিং থেকে শুরু করে নন্দকুমার সেকাররা। কিন্তু কিছুতেই গোলের মুখ খোলা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁদের পক্ষে। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়েছে মশাল ব্রিগেড। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকেনি কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। পিভি বিষ্ণু থেকে শুরু করে ডেভিড লালহানসাঙ্গা। মুম্বাইয়ের রক্ষণ ভেদ করে একের পর এক আক্রমণ সংগঠিত করলেও গোল আসেনি।

এমনকি সুযোগ নষ্ট করেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন‌‌‌। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় এই স্প্যানিশ কোচকে। ম্যাচ প্রসঙ্গে প্রথমেই তিনি বলেন, ” একাধিক চোট আঘাত সমস্যা থাকার পরে ও আমরা এই ম্যাচের প্রথমার্ধে যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি। কিন্তু আমরা গোল করতে পারিনি। যেটার খুব প্রয়োজন ছিল। সেটা সম্ভব হলে দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ত। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ম্যাচ যত এগোচ্ছে দল আরও সংগঠিত হয়ে উঠছে‌। “

এই ম্যাচে ক্লিনশিট বজায় থাকলেও গোলের সুযোগ নষ্ট কিছুতেই মানতে পারলেন না ব্রুজন। সেই নিয়ে তিনি বলেন, ” ডায়মান্তাকসের শট দুইবার পোস্ট লেগে ফিরেছে। ওকে সঠিক সময় সঠিক যায়গায় থাকতে হবে। তবে আমি আশাবাদী ও একবার গোল পেলেই নিজের ছন্দ ফিরে পাবে। এটা ঠিক যে স্ট্রাইকাররা সব সময় গোল করতে পারে না। সময়ের সাথে সাথে সেই পরিস্থিতি বদলে যায়। তবে এটাও দেখতে হবে যে ও অনেক গুলো ভালো সুযোগ পেয়েছিল। এক্ষেত্রে পিভি বিষ্ণু থেকে শুরু করে মহেশ ও ডেভিডরা ওকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।” তবে আইএসএলের কথা ভুলে আসন্ন সুপার কাপের পাশাপাশি এএফসির টুর্নামেন্টের দিকেই এখন বাড়তি নজর দিচ্ছেন লাল-হলুদের হেডস্যার।