মুম্বইয়ে সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, পয়েন্ট টেবিলের একধাপ উপরে ইস্টবেঙ্গল

অবশেষে পয়েন্ট টেবিলের স্থান পরিবর্তন করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বাই এরিনায় শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল…

East Bengal Draws 0-0 Against Mumbai City FC

অবশেষে পয়েন্ট টেবিলের স্থান পরিবর্তন করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বাই এরিনায় শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হল এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে বহুদিন পর আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে উঠে আসলো কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দল। যা কিছুটা হলেও হয়তো খুশি করবে লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে এই আইএসএল মরসুমের সুপার সিক্সের লড়াইয়ের টিকে থাকা এখনও যথেষ্ট কঠিন এই দলের কাছে।

   

গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে পরাজিত করার পর মুম্বাই ম্যাচ নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু খারাপ সময় যেন সব সময়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছে মশাল ব্রিগেডের। দিনকয়েক আগেই চোটের কবলে পড়েছেন দলের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার পাশাপাশি তারকা ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। এক কথায় যা বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে সাফল্য পাওয়া যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নবনিযুক্ত কোচ অস্কার ব্রুজন‌‌‌। তবে শুধুমাত্র এই দুই ফুটবলার নয়।

বর্তমানে চোট সমস্যায় ভুগছে দলের অধিকাংশ ফুটবলার। যারফলে প্রথম একাদশ বাছাই করতে গিয়ে, কাল ঘাম ছুটেছিল এই স্প্যানিশ কোচের। তবুও লড়াকু মানসিকতা নিয়েই শক্তিশালী মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নিজের একাদশ সাজিয়েছিলেন তিনি। বলাবাহুল্য, এদিন হিসাব মত মুম্বাই সিটি এফসির হোম ম্যাচ থাকলেও ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। তাঁদের ঘন ঘন আক্রমণ যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিল মেহতাব সিং থেকে শুরু করে নাথান রদ্রিগেজদের। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। নাওরেম মহেশ থেকে শুরু করে নন্দকুমার সেকার বারংবার উঠে আসলেও কাজের কাজ হয়নি।

এমনকি ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তরুণ তারকা পিভি বিষ্ণু। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পায় মুম্বাই সিটি। কিন্তু সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা। প্রথমার্ধের শেষ কোয়ার্টারে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের বাড়ানো পাস থেকে বিপিন সিং গোলের চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। কিন্তু তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গুলের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। ডেভিডের বাড়ানো বল থেকে হেড করার চেষ্টা করলেও সম্পুর্ন ব্যর্থ থাকেন তিনি। নাহলে অনায়াসেই বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফল।

অমীমাংসিত ফলাফলে প্রথমার্ধ শেষ হলেও তৃতীয়ার্ধ থেকে পাল্টা চাপ বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল মুম্বাইয়ের। সময় যত এগিয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গিয়েছে দুই দলের মধ্যেই। তারপর ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টারে হ্যান্ডবল করে বসেন নন্দকুমার সেকার। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন রেফারি। বিপদজনক স্থানে ফ্রি-কিক পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি ভ্যাননিফ। তারপরেও ম্যাচের শেষ দিকে মরণ কামড় দিতে চেয়েছিল সকলেই। কিন্তু পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হল উভয় দলকে।