কলকাতা ফুটবল লিগের পর এবার ডুরান্ড ডার্বিতে ও বজায় থাকল ইস্টবেঙ্গলের দাপট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের দুই শক্তিশালী প্রধান। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল মশাল ব্রিগেড। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোস। বলতে গেলে তাঁর হাত ধরেই এবার সিনিয়র ডার্বি জয়ের স্বাদ পেল মশাল ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল।
সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। তবে এদিন দলের সকলেই প্রায় অনবদ্য ছন্দে ধরা দিলেও প্যালেস্টাইনের তারকা মিডফিল্ডার মহম্মদ রশিদের অভাব যেন কিছুটা হলেও বুঝেছে ময়দানের এই দল। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রয়াত হয়েছেন তাঁর পিতা। এক কথায় যা বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে। যারফলে সেদিনই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এই তারকা। কিন্তু তারপরেও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দিতে দেখা গেল ময়দানের এই প্রধানকে। এবারের এই ডার্বি জিতে রশিদ ও তাঁর পরিবারকে জয় উৎসর্গ করলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচ শেষে রশিদের সেই অভিভাবক বিজড়িত জার্সি হাতে নিয়ে ফটো সেশন করতে দেখা যায় সকলকে।
ম্যাচ শেষে সাউল ক্রেসপো বলেন, “আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাব। রশিদ কঠিন সময়ে রয়েছে, এই মুহূর্তে আমরা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি আশা করি এই বছর আমরা আমাদের ট্যালেন্ট দেখাব।” পরবর্তীতে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “রশিদ না থাকায় রক্ষণ নিয়ে আমরা নতুন পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি মনে করিনা এটা শক্ত ম্যাচ ছিল এবং প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ছিল। আমাদের ছেলেরা মাঠে ভালো খেলেছে তাই জিতেছে। আমরা আশা করছি মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতব। কালকে হামিদের মেডিকেল চ্যাক আপ হবে। দিমি দলকে খুব সাহায্য করেছে।”
আগামী ২০শে আগস্ট ডুরান্ডের সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে কিবু ভিকুনার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি। এবার এই ম্যাচ জেতাই এখন প্রধান লক্ষ্য সকলের।