ইতিমধ্যেই চলতি ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal)। তবে ভারতীয় বায়ু সেনার (IAFT) বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon)। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমরা ছন্দ হারাতে চাই না। এই ম্যাচেও শতভাগ উজাড় করে খেলব, যাতে নকআউটে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি না থাকে।”
ডুরান্ড কাপের শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আগের দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘রেড অ্যান্ড গোল্ড’ ব্রিগেড নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। অন্যদিকে ভারতীয় বায়ুসেনা ফুটবল দল ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ায় তাদের কাছে এই ম্যাচ শুধুই সম্মান রক্ষার লড়াই। তবে অস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখলে চলবে না। তিনি বলেন, “তাদের হারানোর কিছু নেই, তাই তারা আক্রমণাত্মক খেলা খেলতে পারে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
এই ম্যাচে দলের অভ্যন্তরীণ কৌশল ও সমন্বয় আরও নিখুঁত করার দিকে জোর দিচ্ছেন কোচ। বিশেষ করে তরুণ ও নতুন সই করা খেলোয়াড়দের পরখ করার এক সেরা সুযোগ। মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ আহাদাদ ইতিমধ্যেই নিজের অভিষেক ম্যাচে গোল করে নজর কেড়েছেন। আজকের ম্যাচেও তাঁর দিকে থাকছে বিশেষ নজর। তাঁর সঙ্গে আক্রমণে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস থাকায় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
অস্কার ব্রুজো জানান, “আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় মাংসপেশির টান অনুভব করছেন, যা দীর্ঘ বিরতির পর ছন্দে ফেরার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। বিষ্ণু (Bismo) মাত্র দুটি পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনে অংশ নিয়েছে। যদি তাকে ম্যাচের আগে ছন্দে পাওয়া যায়, তাহলে শেষ দিকে ১০-১৫ মিনিট খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে।”
সাউল ক্রাসপো নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, “গত দু’বছর ধরে সাউল চোটের সমস্যায় ভুগছিল। তবে এবার ও নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া। জুন মাস থেকেই অফ সিজন ট্রেনিংয়ে মন দিয়ে কাজ করেছে। আমরা ওর ফিটনেসের দিকে নজর রাখছি, কারণ সাউল পুরো ফিট থাকলে দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে দলগত গভীরতা যাচাই করার। পাশাপাশি, ব্যাক-আপ খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফিটনেস এবং মানসিক প্রস্তুতি দেখে নেওয়ার আদর্শ সময়। কোচ অস্কারের লক্ষ্য, পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে দলকে ছন্দে রাখা এবং প্রতিটি ম্যাচকেই ‘ফাইনাল’ হিসেবে দেখা।
শেষ কথা, আজকের ম্যাচের ফলাফল হয়ত কোয়ার্টার ফাইনালের উপর প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস, ছন্দ এবং ভবিষ্যতের ম্যাচ কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে এদিনের ম্যাচ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নকআউটে সাফল্য পেতে হলে এই ধাপে তৈরি হওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
East Bengal coach Oscar Bruzon is aware on IAFT match of Durand Cup