আজ ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) প্রয়াত সচিব পল্টু দাসের ৮৬ তম জন্মদিবস। অন্যান্য বছর গুলির মতো এবার ও যথেষ্ট সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে এই বিশেষ দিনটি। মূলত “স্পোর্টস ডে” হিসেবেই প্রত্যেকবার পালিত হয়ে আসছে এই ১৩ই আগস্ট, এবার ও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল ৯টা থেকেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছিল লাল-হলুদের ক্লাব তাঁবু। দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক ভাস্কর গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে প্রাক্তন খেলোয়াড় ও কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর তত্ত্বাবধানে ক্লাবের অন্যান্য প্রাক্তন খেলোয়াড় সহ ক্লাব সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া, ও সচিব রূপক সাহা দীপক দাস তথা পল্টু দাসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পাশাপাশি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
তারপর ক্লাব তাঁবুতে ক্লাব পতাকা উত্তোলন করেন ক্লাব সভাপতি সহ অন্যান্য প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। এমনকি প্রতিষ্ঠা দিবসের মতো এদিনও লাল-হলুদ বেলুন ওড়ানো হয় ক্লাবের মাঠে থেকে। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। তারপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লাল-হলুদ তাঁবুতে চারটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে শুরু হয় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠান। যেখানে প্রথম থেকেই রক্তদাতাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো I এছাড়াও শহরের প্রখ্যাত চিকিৎসক মন্ডলীর দ্বারা পরিচালিত হয় বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ও কার্ডিওলজির ডাক্তার আশীষ কুমার সাহা, ই.এন.টি ডাক্তার সুবীর হালদার, অর্থো বিভাগের ডাক্তার দেবজিৎ দেব, মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার শাম্ব সমাজদার, ডাক্তার পারাবর্তন সাহা, ডেন্টাল বিভাগের ডাক্তার গৌতম কর, ডাক্তার শর্মিষ্ঠা দাস, চক্ষু বিভাগের ডাক্তার সৌরভ দাস, ডাক্তার প্রতিমা মাঝি, ইসিজি বিভাগের ডাক্তার দেবলীনা সেন৷
তাঁদের উপস্থিতিতে সফলভাবে সম্পন্ন হয় গোটা শিবিরটি। কিন্তু শুধুমাত্র অনুষ্ঠান নয়। এবার এই বিশেষ দিনেই বিশেষ উদ্যোগ নিল ইস্টবেঙ্গল কতৃপক্ষ। শহরের খেলোয়াড় ও প্রাক্তন খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য ক্লাব নিয়ে এলো বিনা অর্থে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসা কুড়িয়েছে সকল ক্রীড়াপ্রেমীদের। উল্লেখ্য, পড়শী ক্লাবের সাথে খেলার মাঠে রেষারেষি থাকলেও জানা গিয়েছে সেই ক্লাবের প্রয়োজনেও এক ডাকে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গলের এই অ্যাম্বুলেন্স। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয় এই আপতকালীন পরিষেবা।
বলাবাহুল্য, ৯০ মিনিট পর্যন্ত মাঠের মধ্যে পড়শী ক্লাবের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলেও ম্যাচের পরে বন্ধুত্ব, ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা একাধিকবার উঠে এসেছে তিন প্রধানের কর্তাদের তরফে। এবার সেক্ষেত্রে আরও এক পা এগিয়ে গেল মশাল ব্রিগেড।