এবারের ফুটবল মরশুমে দলের কোচ সুজাতা করের (Sujata Kar) হাত ধরে অপরাজিত ভাবে কন্যাশ্রী কাপ জিতেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের মহিলারা। সেই জয়ের সুবাদে এবার বাংলার প্রথম দল হিসেবে জাতীয় লিগ খেলার সুযোগ চলে আসে কলকাতার এই প্রধানের কাছে।
তবে সেই টুর্নামেন্ট শুরু করার আগেই একাধিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান মহিলা দলের এই কোচ। যা শুনে অবাক হয়েছিল সকলেই। যদিও পরবর্তীকালে ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে গলে যায় অভিমানের বরফ। তার জেরেই পদত্যাগ পত্র ফিরিয়ে নিয়ে জাতীয় লিগ খেলতে দলের সাথে উড়ে যান ময়দানের এই ভরসাযোগ্য কোচ।
তারপরে কিছুটা সময় সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলেও মুম্বাই নাইটস ম্যাচের পর থেকে ফের দেখা দিতে থাকে একাধিক সমস্যা। যারফলে, গত ১৩ই মে অর্থাৎ নিজের জন্মদিনের দিন ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন সুজাতা। সেইমতো একটি বিশেষ মেইল ও করেন ক্লাবে।
তবে পরবর্তীতে দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা বিবেচনা করে জাতীয় লিগ পর্যন্ত দলে থেকে যাওয়ায় কথা জানানো হয় সুজাতা করের তরফ থেকে। সেইমতো তার তত্ত্বাবধানে সেতু মাদুরাইয়ের সাথে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে রিম্পা-রত্নারা। তবে বড় ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে যেতে হয় তাদের কে। তাহলে কি সেটাই ছিল সুজাতার শেষ ম্যাচ?
এই নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তার কথায়, গোটা বিষয়টি কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোচ সুজাতা করের অভিযোগ যদি সঠিক ও যুক্তিযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে ক্লাবের তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, জাতীয় লিগ খেলতে আমেদাবাদ উড়ে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার নাকি লাল-হলুদের সদস্য দীপ্তেন বোসের সঙ্গে মতভেদ দেখা দিয়েছিল দলের কোচের। শেষ পর্যন্ত গত ১৩ তারিখ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সুজাতা। শেষ পর্যন্ত ক্লাবের তরফ থেকে এই নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার।