নতুন মরশুমের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত সিজনের শেষের দিকেই দল নিশ্চিত করে ফেলেছিল ফরাসি ফুটবলার মাদিহ তালালকে। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সমর্থকদের। এছাড়াও গ্ৰীক ফুটবলার দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোসকে ও নিশ্চিত করে ফেলেছে ক্লাব।
গত কয়েকদিন আগেই সরকারিভাবে জানানো হয়েছে তার যোগদানের কথা। এছাড়াও দেশীয় ব্রিগেডকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তরুণ ফরোয়ার্ড ডেভিড লালাসাঙ্গার পাশাপাশি অ্যালেক্স সাজি, প্রভাত লাকরার মতো ফুটবলারদের চূড়ান্ত করতে সক্ষম থেকেছে ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। নতুন মরশুমে ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি এএফসির টুর্নামেন্টে ও অংশ নেবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। আগামী ১৪ই আগস্ট নিজেদের ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের দাপুটে ফুটবল ক্লাবের মুখোমুখি হতে হবে কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। সেইমতো দল সাজানো পরিকল্পনা রয়েছে লগ্নিকারী সংস্থার। তার জন্য গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দল মুম্বাই সিটি এফসির দিকে নজর গিয়ে পড়েছে তাদের। পেট্রো ক্র্যাটকির দল থেকে বিনীত রাইয়ের পাশাপাশি আপুইয়ার মতো ফুটবলারদের দলে টানার পরিকল্পনা ছিল এই প্রধানের।
যতদূর খবর বিনীত রাইকে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পাঞ্জাব এফসি। তবে আপুইয়াকে পাওয়ার জন্য অলআউট ঝাঁপিয়েছে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান। ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। তবে হিসেব অনুযায়ী আগামী বেশ কয়েক মরশুমের জন্য মুম্বাইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন এই ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই তাকে পেতে হলে বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে দলগুলিকে।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে চূড়ান্ত করার জন্য সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ১৭ কোটিরও বেশি খরচ করতে হত ইচ্ছুক ক্লাবকে। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আরো অনেকটাই বেড়েছে সেই পরিমাণ। মনে করা হচ্ছে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০কোটির কাছাকাছি। যারফলে আপুইয়াকে নিয়ে এখনই হয়ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না ইমামি ম্যানেজমেন্ট।