মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি স্টেডিয়ামে রেলকে হারিয়ে গ্ৰুপ শীর্ষস্থান দখল করল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) সিনিয়র দলের দুরন্ত পারফরম্যান্সের রেশ যেন ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা লিগেও (CFL 2025)। রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া গোলের সৌজন্যে লাল-হলুদ শিবির জয় তুলে নিল ৩-০ ব্যবধানে। ম্যাচের শুরুতেই দুই গোল করে কার্যত রেলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন সায়ন। অতিরিক্ত সময়ে নসিবের পা থেকে আসে আরও এক গোল। ফলে একতরফা জয় নিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এ’র শীর্ষে উঠে এসেছে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, গ্রুপে বড় ধাক্কা খেল মামনি গ্রুপ অফ পাঠচক্র এবং সুরুচি সংঘ। পাঠচক্র হেরে যাওয়ায় এবং সুরুচি সংঘ ড্র করায় লাল-হলুদ ব্রিগেডের পথ আরও মসৃণ হল।
ডুরান্ড কাপের ব্যস্ত সূচির কারণে এদিন কোনও সিনিয়র ফুটবলারকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ বিনো জর্জ। তবে সেই সিদ্ধান্তেও সাফল্য পেলেন তিনি। ম্যাচের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে ভরসা রাখছেন জুনিয়রদের উপর। মাঠে নামেনি একঝাঁক অভিজ্ঞ ফুটবলার। তবুও দলের ছন্দে একটুও ফাঁক ছিল না। যদিও ম্যাচের প্রথম একাদশে ছিলেন অধিনায়ক সৌভিক চক্রবর্তী এবং পিভি বিষ্ণু।
৩ মিনিটের ব্যবধানে সায়নের দুটি গোল ইস্টবেঙ্গলকে একতরফা জয় এনে দেয়। ম্যাচের শেষদিকে অতিরিক্ত সময়ে নসিবের করা গোলে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড।
রেলওয়ে এফসির কোচ হিসেবে এটি ছিল প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল তারকা মেহতাব হোসেনের দ্বিতীয় ম্যাচ। আগের ম্যাচে ড্র করলেও, এদিন পুরনো দলের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখতে পেলেন না তিনি। ৭ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া রেল কার্যত গ্রুপের তলানিতে। অবনমন এড়াতে এখন প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে।
জয়ের আনন্দের মধ্যেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে একটি লাল কার্ড। ম্যাচের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলের এক ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন, যার ফলে পরের ম্যাচে তার অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
East Bengal beat Railway FC by 3-0 in CFL 2025 with secure group top place