তলানিতে ইস্টবেঙ্গল, নেক্সট জেন কাপের কত নম্বরে শেষ করল দেশের বাকি দুই দল?

গত মরসুমে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ছোটদের। কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে অনায়াসেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগের ফাইনালে। চূড়ান্ত সাফল্য না…

East Bengal Next Gen Cup

গত মরসুমে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ছোটদের। কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে অনায়াসেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগের ফাইনালে। চূড়ান্ত সাফল্য না এলেও ডেভেলপমেন্ট লিগের ফাইনালে ওঠার ফলে নেক্সট জেনারেশন কাপ (Next Gen Cup) খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যায় মশাল ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সমর্থকদের।

   

নয়া সিজনে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচে লুটন টাউনের বিপক্ষে জয় আসলেও মূল টুর্নামেন্টে নাকানিচুবানি খেয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে শুরু করে এভারটন হোক কিংবা অ্যাস্টন ভিলা, প্রত্যেক ম্যাচেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে তন্ময় দাসদের।

এমনকি পেনাল্টি শ্যুট আউটে ও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ময়দানের এই প্রধান। যারফলে, গ্ৰুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ খেলে কোনও পয়েন্ট তোলা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছে সমর্থকদের। দলের এই খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে কোচের পরিকল্পনা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।

অন্যদিকে, নেক্সট জেনারেশন কাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স থেকেছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পাঞ্জাব এফসির। প্রথম দুই ম্যাচে আটকে যেতে হলেও পরবর্তীতে দুরন্ত ছন্দে ধরা দেয় ভারতের এই ফুটবল ক্লাব। তাঁরা পিছিয়ে থেকে ও পরাজিত করে এভারটনের মতো দলকে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় পাওনা। সেখানেই শেষ নয়। চতুর্থ ম্যাচে তাঁরা পরাজিত করে অ্যাস্টন ভিলাকে।

প্রথমে এই দলের কাছে পরাজিত হয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করতে হয়েছিল পাঞ্জাব এফসিকে‌। ইংল্যান্ডের এই ক্লাবকে পরাজিত করেই বদলা নেয় ভারতের এই ফুটবল ক্লাব। সেইসাথে টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্থান অধিকার করে পাঞ্জাব এফসি। যা নিঃসন্দেহে গৌরবের। প্রথম বাঙালি কোচ হিসেবে নেক্সট জেনারেশন কাপে ইতিহাস তৈরি করলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী।

এছাড়াও ভারত থেকে তৃতীয় ক্লাব হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল মথূট ফুটবল অ্যাকাডেমি। তবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকেছে আনিসের ছেলেদের। অপরদিকে সবাইকে চমকে দিকে টটেনহ্যাম দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় স্টেলেবোশ ফুটবল ক্লাব।

শেষ পর্যন্ত এই নেক্সট জেনারেশন কাপের যে ক্রমতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেই অনুযায়ী তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে পাঞ্জাব এফসি। পাশাপাশি ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছে মথূট ফুটবল অ্যাকাডেমি। এবং সবার শেষে অর্থাৎ অষ্টম স্থানে শেষ করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব।