Mohun Bagan vs Mohammedan SC: জয়ের ধারা অব্যাহত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। গত ম্যাচে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করার পর এদিন যুবভারতীর বুকে ডার্বি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জিতে নিল মেরিনার্সরা। এদিন সবুজ-মেরুন জার্সিতে দুইটি করে গোল করেন শুভাশিস বসু এবং মনবীর সিং। হাইভোল্টেজ এই ডার্বি জয়ের ফলে ১৯ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল মোহনবাগান।
বলাবাহুল্য, এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে ধরা দিয়েছিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল লিস্টন কোলাসো। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়তে হয় এই ভারতীয় উইঙ্গারকে। তবে সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। ১২ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ভাসানো বল জেসন কামিন্সের পা থেকে সোজা চলে যায় দীপেন্দু বিশ্বাসের কাছে। তাঁর শটকে কন্ট্রোল করে বল গোলে ঠেলে দেন বাগান অধিনায়ক।
অনায়াসেই এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। পরবর্তীতে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করেছিলেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা ফুটবলার মনভীর সিং। কিন্তু ঠিকমতো সেই বল অনুসরণ করতে পারেননি সতীর্থ ফুটবলাররা। নাহলে অনায়াসেই ম্যাচে ফিরে আসতে পারত মহামেডান। তারপর ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ফের গোল তুলে নেয় মোহনবাগান। এবার ও সেই কর্নারের বিনিময়ে আসে গোল। ভাসানো বল হেড করে গোল করেন মনবীর সিং।
টানা গোল হজম করার ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। পরিস্থিতি অনুযায়ী পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি কোনও ভাবেই। বরং তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন শুভাশিস বসু। জেসন কামিন্সের ফ্রি-কিক কাজে লাগিয়ে গোলরক্ষক পদম ছেত্রীকে পরাস্ত করেন বাগান অধিনায়ক। সেই সুবাদে প্রথমার্ধের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে অতিরিক্ত সময় কাসিমভের লাল কার্ড দেখা যেন বাড়তি অক্সিজেন যুক্ত করে বাগান শিবিরে।
তারপর দ্বিতীয়ার্ধ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। বরং সুযোগ বুঝেই দলের হয়ে চতুর্থ গোল করে যান মনবীর সিং। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে আরও একাধিকবার আক্রমণ সংগঠিত করেছিল বাগান ব্রিগেড। তবে গোলের ব্যবধান আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি।