গত ফুটবল সিজনে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস (Dimitrios Diamantakos)। কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন গ্রীক ফরোয়ার্ড। এমন অভূতপূর্ব পারফরম্যান্সের জন্য এই সিজনে তাঁকে দলে টানে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল। দিমিত্রির আগমন নিঃসন্দেহে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলেছিল দলের আক্রমণভাগকে। তবে গত সিজানে কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে আইএসএলের গোল্ডেন বুট জয় করলে ও এবার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস।
এখনো পর্যন্ত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্বে লাল-হলুদ জার্সিতে গোল পেলে ও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ এই বিদেশি ফরোয়ার্ড। একাধিক ম্যাচে গোলের সহজ সুযোগ পেয়ে ও কাজে লাগাতে পারেননি এই হাইপ্রোফাইল ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছে একাধিক ম্যাচে। দিমির গোল মিস করার ফলে একাধিক ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। স্বাভাবিকভাবেই এই বিদেশি ফরোয়ার্ডকে দলে আনা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের পুরনো দলের পাশাপাশি বর্তমান দলের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন এই তারকা।
দিমিত্রি বলেন, ” কেরালা ব্লাস্টার্সে আমার প্রথম বছরে, আমি বেশি গোল করিনি। তবে পরবর্তীতে ভালো পারফরম্যান্স থেকেছে। তবে এখানে আমর একে অপরকে জানার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কারণ, মাঝে মাঝে ওরা আমার মুভমেন্ট বুঝতে পারছে না। আমরা দুজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে খুইয়েছি মাদিহ তালাল যার সঙ্গে আমার যোগাযোগটা ভাল ছিল। আর সাউল, যার সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভাল। প্রতি ম্যাচে সতীর্থরা আমাকে ক্রমশ বুঝতে পারছে এবং আমাকেও ওদের বুঝতে হবে।”
তবে এমন পারফরম্যান্সে পরবর্তী সিজনে দল আদৌ তাঁর উপর কতটা ভরসা রাখবে এখন সেটাই দেখার বিষয়। সেক্ষেত্রে কোচের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলোয়াড় বদলের পদক্ষেপ নিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।