নয়া মরসুমের জন্য বহু আগে থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। বিশেষ করে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকে আরও বেড়ে যায় সেই সক্রিয়তা। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছিল যে আসন্ন ফুটবল মরসুমের কথা মাথায় রেখে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের ও দলে চূড়ান্ত করে ফেলেছে ময়দানের এই প্রধান। শুধুমাত্র সরকারি শিলমোহর পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল সকলে। গত কয়েক দিন ধরে সেই নিয়েই সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল।
এক্ষেত্রে নতুন ফুটবলারের পাশাপাশি পূর্বে দলের এক বিদেশি ফুটবলারকে ও রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ম্যানেজমেন্টের তরফে। তিনি দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস (Dimitrios Diamantakos)। গতবছর যথেষ্ট হতাশ করলেও এই সিজনে তাঁর উপরেই ভরসা রাখছে ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তিনি একানন। শোনা যাচ্ছে, তার পাশেই থাকবেন আরেক বিদেশি ফরোয়ার্ড। অর্থাৎ দুই বিদেশিকে সামনে রেখেই সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে মশাল ব্রিগেড। অবশেষে ১৮ই জুলাই ভোর রাতের দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন এই গ্ৰীক ফরোয়ার্ড। গতবারের হতাশা ভুলে এবার নিজের সেরাটা দিতে মরিয়া এই তারকা ফুটবলার।
কিন্তু দিমি একানন। একইসাথে শহরে এসে পৌঁছান লাল-হলুদ কোচ তথা অস্কার ব্রুজনের নয়া বিদেশি সহকারী আদ্রিয়ান। বিমানবন্দরে দিমির পাশাপাশি পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন দলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁর দিকে ও এবার বাড়তি নজর থাকবে আপামোর ইস্টবেঙ্গল জনতার। এই দুই হাইপ্রোফাইলের আসার কিছু ঘন্টা আগেই কলকাতায় পা রেখেছিলেন মশাল ব্রিগেডের নতুন বিদেশি ফুটবলার মহম্মদ রাশিদ। তাঁকে নিয়ে ও ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে।