সাফল্যের মধ্য দিয়ে গত মরসুম শেষ করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের পাশাপাশি লিগ কাপ ও এসেছিল সবুজ-মেরুনে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিল সমর্থকরা। এই নতুন সিজনে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য মেরিনার্সদের। পাশাপাশি গতবারের হতাশা ভুলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট তথা এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুয়ে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে গতবারের আইএসএল জয়ীদের। সেক্ষেত্রে এবারের এই ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপকে কার্যত প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবেই দেখছেন হোসে মোলিনা।
বলাবাহুল্য, টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই দারুন ছন্দে রয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করার পর গত সোমবার অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছে দুর্বল বিএসএফ দলকে। জয় দিয়েই গত সিজন শেষ করেছিলেন মোলিনা। এবার সেখান থেকেই শুরু। অর্থাৎ ডুরান্ডে জয়ের মধ্য দিয়ে এবারের সিজন শুরু করলেন গতবারের এই আইএসএল জয়ী কোচ। বাস্তব রায়ের তত্ত্বাবধানে দল প্রথম ম্যাচ খেললেও দিন কয়েক আগেই শহরে এসে পৌঁছে ছিলেন মোলিনা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন বাগানের বিদেশি ফুটবলাররা। গত সপ্তাহের শেষের দিকেই এসে গিয়েছেন দলের দুই তারকা ডিফেন্ডার তথা টম অলড্রেড এবং আলবার্তো রদ্রিগেজ।
তারপর গত সোমবার মধ্যরাতে শহরে এসেছেন আক্রমণভাগের অন্যতম দুই স্তম্ভ। তথা জেসন কামিন্স এবং জেমি ম্যাকলারেন। বলাবাহুল্য, শেষ আইএসএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ফুটবলারের। বিশেষ করে খেতাব জয়ের ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অজি কম্বিনেশনের। কিন্তু শুধুমাত্র এই দুই ফুটবলার নন। শেষ কয়েক সিজন ধরেই মোহনবাগানের জার্সিতে দাপিয়ে ফুটবল খেলছেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা। তিনি দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos )। আপফ্রন্টের এই ফুটবলারের দক্ষতায় বহু ম্যাচে অতি সহজেই জয় পেয়েছে মেরিনার্সরা।
এবার ও তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকরা। কিন্তু কবে কলকাতায় আসছেন দিমি ? যতদূর জানা গিয়েছে ৭ ই আগস্ট মধ্যরাতেই শহরের বুকে পা রাখতে চলেছেন সবুজ-মেরুনের এই ভরসাযোগ্য ফুটবলার। সব ঠিকঠাক থাকলে রাত বারোটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট কিংবা রাত একটার মধ্যেই শহরে এসে যাওয়ার কথা দিমিত্রি পেত্রাতোসের।