নতুন রেকর্ডের মধ্য দিয়ে নতুন সিজন শুরু করল ডায়মন্ড হারবার এফসি। প্রথমবারের মতো এবার ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ খেলতে এসেছে বাংলার এই শক্তিশালী দল। প্রথমবারেই দল চলে গেল সেমিফাইনালে। হ্যাঁ ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। নির্ধারিত সূচি অনুসারে রবিবার বিকেলে জামশেদপুরের জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল নরহরি শ্রেষ্ঠারা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল স্টিভেন ডায়াসের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। সম্পূর্ণ সময় শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ডায়মন্ড হারবার। এদিন দলের হয়ে জোড়া গোল করলেন সাই রুয়াতকিমা।
যারফলে অনায়াসেই দল চলে গেল সেমিফাইনালে। গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে ধাক্কা খেতে হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের ভুল ত্রুটি শুধরে নিতে মরিয়া ছিল লুকা মাজসেনরা। পরিকল্পনা মতোই এবার ইস্পাত নগরীর দলকে আটকে দিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। প্রথম থেকেই যথেষ্ট সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলারদের। যারফলে গোলের মুখ খুলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। প্রথম তিন মিনিটের মাথায় জবি জাস্টিনের থ্রো ইন থেকে বল থাইয়ে লাগিয়ে সোজা গোলে ঠেলে দেন মিজোরামের এই সেন্টার ব্যাক।
যারফলে অনায়াসেই এগিয়ে যায় দল। ম্যাচের প্রথমদিকে গোল হজম করা নিঃসন্দেহে অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছিল আইএসএলের এই দলকে। তবে সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছিলেন নিশু কুমার থেকে শুরু করে ভিপি সুহেররা। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ধাক্কা খেতে হচ্ছিল বারংবার। তবে দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মধ্যেই গোলের সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জয়েশ রানে। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। এরপর তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকে সতীর্থের ক্রস থেকে বল রিসিভ করে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আপফ্রন্টের ফুটবলাররা। কিন্তু সেটা কাজে আসেনি।
তবে ফিরতি বল থেকে দুরপাল্লার শট নিয়ে জামশেদপুর গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক থেকে বল গোলে ঠেলে দিয়েছিলেন রুয়াতকিমা। প্রথমার্ধের শেষে দুইটি গোলের ব্যবধানেই এগিয়েছিল বাংলার এই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে আরও তেজ বাড়তে শুরু করেছিলেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা। একবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ভিপি সুহের। তারপর ৬৮ মিনিটের মাথায় ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়ে ও বল জালে জড়াতে পারেননি মনবীর সিং। নির্ধারিত নব্বই মিনিট পর্যন্ত ফলাফলের বদল না হলেও অতিরিক্ত ৮ মিনিটের শেষের দিকে বল গোলে ঠেলে দিয়েছিল জামশেদপুরের ফুটবলাররা। তবে হ্যান্ড বলের দরুন সেটি বাতিল করে দেন ম্যাচ রেফারি।