ডুরান্ডের অভিষেক ম্যাচে বিদেশীহীন মহামেডানকে নিয়ে সতর্ক কিবু!

মাত্র তিন বছরের পথচলা। কিন্তু সেই স্বল্প সময়েই ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে নিজস্ব ছাপ রেখে চলেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC )। ২০২২ সালের ১৫…

Diamond Harbour FC coach Kibu Vicuna is aware against Match of Mohmmedan SC in Durand Cup 2025

মাত্র তিন বছরের পথচলা। কিন্তু সেই স্বল্প সময়েই ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে নিজস্ব ছাপ রেখে চলেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC )। ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষে আত্মপ্রকাশ করে ক্লাব। এরপর অল্প সময়ে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশন থেকে জায়গা করে নিয়েছে আই-লিগে। প্রথমবার তারা নামছে ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025)। ২৮ জুলাই ডুরান্ডের অভিষেক ম্যাচেই কিবু ভিকুনার (Kibu Vicuna) দল মুখোমুখি হবে কলকাতা ময়দানের প্রবীণ শক্তি মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (Mohmmedan SC)।

ডায়মন্ড হারবারের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা এই ম্যাচকে ঘিরে যথেষ্ট সতর্ক। কারণ ডুরান্ড কাপে বিদেশীহীন মহামেডানকে হালকাভাবে নিতে নারাজ ভিকুনা। তিনি বলেন, “মহামেডান এসসিকে সম্মান করতে হবে। তারা অভিজ্ঞ দল, যাদের দলে ভালো মানের ফুটবলার রয়েছেন। ডুরান্ড কাপ তাদের জন্যও এক নতুন উদ্দীপনা। আমরা যদি জয় পেতে চাই, তবে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।”

   

ডায়মন্ড হারবারের নতুন বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম নাম লুকা মাজসেন। তার পারফরম্যান্স নিয়ে ভিকুনা আশাবাদী হলেও জানান, পুরোপুরি ফিট হতে কিছুটা সময় লাগবে লুকার। সঙ্গে কিবু যোগ করেন, “সে বড় মাপের ফুটবলার। দলে এসে মাত্র দুটো ট্রেনিং সেশন করেছে। ওর মধ্যে শক্তি আছে, কিন্তু পুরোপুরি ম্যাচ ফিট হতে আরও দু-তিন সপ্তাহ লাগবে। তবুও কালকের ম্যাচে সে দলের কাজে লাগবে।”

Luka Majcen in Durand Cup 2025

Advertisements

ডায়মন্ড হারবার এফসি ডুরান্ড কাপে প্রথমবার খেলতে চলেছে। এই উপলক্ষে সমর্থকদের জন্য বিশেষ বার্তাও দিলেন কিবু ভিকুনা। তিনি বলেন, “তিন বছর আগে আমরা বাটানগরে খেলছিলাম। আজ আমরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে, ডুরান্ড কাপ খেলতে নামছি। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু শুধুমাত্র মাঠে নামাই নয়, আমাদের প্রতিযোগিতায় লড়াই করতেও হবে। লক্ষ্য একটাইকালকের ম্যাচে তিন পয়েন্ট অর্জন করা।”

ডুরান্ড কাপে অভিষেকের আগে ডায়মন্ড হারবার ইতিমধ্যেই বিদেশি খেলোয়াড় দলে টেনে চমক দিয়েছে। ক্লাবের পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা স্পষ্ট। কলকাতা ফুটবলে ‘চতুর্থ জায়ান্ট’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই ক্লাব এবার দেশের মঞ্চেও নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে প্রস্তুত।