Mohun Bagan vs East Bengal: নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ই জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরবর্তী ডার্বি ম্যাচ। যেখানে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যেদিকে নজর গোটা দেশবাসীর। বলাবাহুল্য, আইএসএলের প্রথম লেগের এই ম্যাচে সবুজ-মেরুনের কাছে পরাজিত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন বাগানের দুই অজি বিশ্বকাপার। জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই সুবাদে অনায়াসেই এসেছিল জয়। টুর্নামেন্টের এই দ্বিতীয় লেগে সেই ধারা বজায় রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য মেরিনার্সদের।
অপরদিকে, প্রথম লেগের হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কাজটা খুব একটা সহজ না হলেও নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া ক্লেটন সিলভারা। কিন্তু কোথায় হবে ডার্বি ম্যাচ? গত কয়েকদিন ধরে সেই নিয়েই দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। আসলে ১১ তারিখ সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ হবার কথা থাকলেও গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় সেটা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে স্টেডিয়াম সংলগ্ন চত্বরে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া যে সম্ভব নয় সেটা আগেই জানানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই অন্যত্র যে ডার্বি সরানো হবে তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই উঠে আসতে শুরু করেছিল ওডিশা এবং জামশেদপুরে নাম। অনেকেই মনে করেছিলেন যে সেখানেই হয়তো সরানো হবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত বুধবার দুপুরে সামনে আসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যেখানে ডার্বির ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গুয়াহাটি স্টেডিয়ামকে। অর্থাৎ ১১ তারিখ সন্ধ্যায় এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে মোহন-ইস্টের ম্যাচ। তার আগেই এবার ডার্বি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” এটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতির স্বীকার। কলকাতায় হলে ভালো হত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। ম্যাচটা পিছোনোর জন্য। এফএসডিএল এর তরফে ও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। এক্ষেত্রে দায়ী পরিস্থিতি”।
পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দল তথা ইস্টবেঙ্গলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” ইস্টবেঙ্গল একটা কঠিন দল। তাছাড়া ডার্বি অত্যন্ত একটা কঠিন ম্যাচ। তাঁদের আগের ম্যাচের কি স্কোর সেটা কোনও জায়গায় আসে না। আমি মনে করি এই ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনকে আমি ওদের পুরো খেলাটা দেখেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ওরা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। সম্পূর্ণ একটা ব্যক্তিগত ভুলে ওরা ম্যাচটা হেরে গেছে। কিন্তু ওরা খুবই ভালো খেলেছে। আমি মনে করি মোহনবাগানের জন্য অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে”।
সেইসাথে রেফারিং নিয়ে বাগান সচিব বলেন, ” আমি ব্যক্তিগতভাবে যথেষ্ট চিন্তিত। যে রেফারিদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ওই ক্লাবের তরফ থেকে তাঁতে রেফারিরা এখন ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে কার্ড দেখাতে ভয় পাচ্ছে। কারণ একটা হলুদ কার্ডের পর আর একটা ফাউল হলে সেটা লাল কার্ড হয়ে যাবে তখন বলবে রেফারিরা নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছে।” তাই আমি ডার্বির রেফারিং নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত”।