গত বুধবার সন্ধ্যায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল তুর্কিমেনিস্তানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আরকাদাগ এফকের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় পেয়েছে এই দল। একটি মাত্র গোল করেন ইয়াজগিলিচ গুরবানভ। ম্যাচের প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারের শেষের দিকেই লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে গোল করে যান এই তারকা ফুটবলার। তা আটকানোর চেষ্টা করলেও কাজের কাজ করতে পারেননি দলের গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিল।
পরবর্তীতে আরও একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করে ও সেগুলি কাজে লাগাতে পারেননি দলের অন্যান্য ফুটবলাররা। তবে প্রথমার্ধের শেষে একটি মাত্র গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ব্যাপক আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসরা। কিন্তু আরকাদাগের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স ভেঙে গোলের মুখ খোলা কার্যত অসম্ভব ছিল মশাল ব্রিগেডের কাছে। ম্যাচের শেষ লগ্নে অর্থাৎ অতিরিক্ত সময় নাওরেম মহেশ সিং এবং পিভি বিষ্ণুরা গোলের পরিস্থিতি তৈরি করলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সাউল ক্রেসপো।
এমনকি গোটা ম্যাচ জুড়ে সেভাবে সক্রিয়তা দেখাতে পারেননি গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হতাশ লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” কোচ যথেষ্ট পজেটিভ। আমার মনে হয় লাজংয়ের ম্যাচে যদি দলের বেশকিছু ফুটবলারদের বিশ্রাম দিতে পারে। তারপর গোটা দলকে খেলতে নিয়ে যেতে পারে তাহলে একটা ভালো পারফরম্যান্স আশা করা যায়। সিচুয়েশনের উপর অনেক কিছু থাকে। ম্যাচে কে কতটা এনার্জির সাথে খেলতে পারছে সেটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।”
তিনি আরও বলেন, ” দিমি গতবছরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাঁকে দলে টানার জন্য সমর্থকদের তরফে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দিয়েছিল। আমরা সেটা করেছি। সে যদি এখন ক্লিক না করে কিংবা ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি। এখানে কোচ সম্পূর্ণ দলের দায়িত্বে থাকেন। সেটা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। সমর্থকদের খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তবে কত তাড়াতাড়ি এই খারাপ সময়টা কাটিয়ে ওঠা যায় সেই চেষ্টাই আমাদের সকলের রয়েছে।”