প্রাক্তন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham) শনিবার, ১৪ জুন, ফুটবলের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য নাইটহুড সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এই সম্মান ব্রিটিশ নাগরিকদের খেলাধুলা, রাজনীতি, শিল্পকলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ অর্জনের জন্য প্রদান করা হয়, যা মধ্যযুগ থেকে চলে আসা একটি ঐতিহ্য।
বেকহ্যামের ফুটবল ক্যারিয়ার অত্যন্ত গৌরবময়। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমি থেকে উঠে এসে ১১ বছর ধরে এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এরপর তিনি ইউরোপের বড় বড় ক্লাব যেমন রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান এবং প্যারিস সাঁ-জঁরমাঁ (PSG)-তে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৫৯ বার দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। তিনি তিনটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ক্লাব পর্যায়ে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এবং দুটি এফএ কাপ জিতেছেন। এছাড়া তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির সঙ্গেও লিগ শিরোপা অর্জন করেছেন।
মাঝমাঠের এই তারকা তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অবদানের জন্য এখনও স্মরণীয়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গোলগুলোর মধ্যে একটি হলো ২০০১ সালে গ্রিসের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিক থেকে করা গোল, যা ইংল্যান্ডকে ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল।
নাইটহুড সম্মান পাওয়ার পর বেকহ্যাম এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার দেশের হয়ে খেলা এবং অধিনায়কত্ব করা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সম্মান এবং আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন পূরণের মতো। মাঠের বাইরে, আমি ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি এবং অসাধারণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করেছি, যারা প্রয়োজনীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহিত করে। আমি যে কাজ করি, তা করার জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি এবং এই স্বীকৃতি আমার কাছে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক। এই খবরটি হজম করতে আমার একটু সময় লাগবে, তবে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং আমার পরিবারের সঙ্গে এই আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পেরে খুশি।”
ফুটবলের পাশাপাশি, ৫০ বছর বয়সী বেকহ্যাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাতব্য কাজের জন্যও পরিচিত। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হলো ২০০৫ সাল থেকে ইউনিসেফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এছাড়া তিনি আরও বেশ কিছু দাতব্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।