অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং তারকা ট্র্যাভিস হেড (Travis Head) পার্থে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ টেস্টে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। এমন এক পিচে, যেখানে দলের পক্ষে ২০০ রান তোলা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। সেখানে হেড নিজের ঝড়ো মেজাজে এক অনবদ্য শতরান তুলে ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন।
রায়ানের পর ভারতীয় দলে ফের ‘বিদেশি’? ফুটবলারকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যে সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে হেডের ব্যাটিং একটি পুরোপুরি অন্য মাত্রা যোগ করল। শুরু থেকেই তিনি টি-টোয়েন্টির মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডের বলার্বাদের উপর প্রায় চমক সৃষ্টি করলেন। মাত্র ৬৯ বলেই শতরান পূর্ণ করে হেড ভেঙে দিলেন ১২৩ বছরের পুরনো রেকর্ড। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে দ্রুততম শতরানের তালিকায় যৌথ তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছেন এবং টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবেও রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে।
এই ইনিংসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে ২০৫ রানের লক্ষ্য জেতাতে সাহায্য করেছেন হেড। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে হেড তেমন কিছু করতে পারেননি। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করে মাত্র ২১ রান করেছিলেন। কিন্তু শেষ ইনিংসে ওপেনিং সুযোগ পেয়ে তিনি তার সম্পূর্ণ সামর্থ্য দেখালেন। মাত্র ৩৬ বলেই অর্ধশতরান পূর্ণ করা হেডের এটি অ্যাশেজ় ইতিহাসে যৌথ তৃতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।
কুলদীপ ঝলকে থমকাল দক্ষিণ আফ্রিকা! পন্থের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াল ভারত
হেডের এই সেঞ্চুরির আগে অ্যাশেজে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি ছিল গিলবার্ট জেসপে। তিনি ১৯০২ সালে ৭৬ বল খেলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার হেড তাঁকে ছাপিয়ে যান। উল্লেখ্য, অ্যাশেজে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি এখন অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। তিনি ২০০৬-০৭ সালের সিরিজে মাত্র ৫৭ বল খেলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে হেডের এই সেঞ্চুরি আরও বিশেষ। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারও ৬৯ বলেই শতরান করেছিল, হেডের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে গৃহীত।
Travis Head leads the Aussie charge in the chase with his 10th Test century in Perth 💯#WTC27 #AUSvENG 📝: https://t.co/eE4SSOzEUc pic.twitter.com/TrKo5xzStt
— ICC (@ICC) November 22, 2025
হেডের ব্যাটিং ছিল একরকম ঝড়ের মত, যা পার্থে দর্শককে নিঃশ্বাসরুদ্ধ করে দেয়। কঠিন পিচেও তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে দেয়। এমনিতে এটি কেবল একটি ইনিংস নয়, বরং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ জয়ের পথে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবেও চিহ্নিত হলো।
