ক্রিকেটের (Cricket) ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। সম্ভবত ‘টেস্ট-টোয়েন্টি’ নামে চতুর্থ ফরম্যাটের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে পারে। এর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেটে যুক্ত করা। ভারত থেকে শুরু হবে এই নতুন ফরম্যাটের যাত্রা, যেখানে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোররা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স, ম্যাথু হেইডেন, হরভজন সিং এবং স্যার ক্লাইভ লয়েড নতুন এই উদ্যোগে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন।
টেস্ট টোয়েন্টি আসলে কী?
নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির এক অভিনব সংমিশ্রণ। ম্যাচে প্রতিটি দল দুইবার করে ব্যাটিং করবে, একেক ইনিংসে ২০ ওভার করে। অর্থাৎ ম্যাচটি মোট ৮০ ওভারের হবে। খেলাটি এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে, টেস্ট ম্যাচের মতো সাদা পোশাক ও লাল বলেই খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি দল একটি করে ৪ ওভারের পাওয়ারপ্লে নিতে পারবে এবং প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের লিড পেলে ফলো-অন প্রয়োগ করা যাবে। সর্বোচ্চ ৫ জন বোলার ব্যবহার করা যাবে এবং প্রত্যেকে ৮ ওভার পর্যন্ত বল করতে পারবে। ম্যাচ ড্র, জয়, পরাজয় কিংবা টাই সব রকম ফলাফলের সম্ভাবনা থাকবে।
উদ্যোক্তা গৌরব বাহিরবানির কথায়, “আমরা চাই ১৩-১৯ বছর বয়সী তরুণরা একে অপরের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে ক্রিকেট খেলুক, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা লাভ করুক। তাই প্রথম দুই বছর ভারতেই খেলা হবে, পরে এই লিগকে বিশ্বজুড়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।” কিশোর দর্শকদের জন্য দারুণ সুখবর হল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে কোনো টিকিট লাগবে না। শুধুমাত্র একটি আইডি কার্ড দেখালেই প্রবেশ সম্ভব হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আমরা অবহেলা দেখিয়েছি। এই নতুন ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে নতুনভাবে তুলে ধরতে পারে।” এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতে, “এই ফরম্যাট খেলোয়াড়দের সৃজনশীলতা ও ফোকাস বজায় রাখার শিক্ষা দেবে।”
প্রচলিত টেস্ট, ওডিআই ও টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি এই নতুন ফরম্যাট আধুনিক তরুণদের কাছে ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে বিশ্বাস অনেকের। একদিনে চার ইনিংসের খেলা, কৌশল ও উত্তেজনার মিশ্রণে ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। আগামী ২০২৬ সালে এই নতুন ফরম্যাট ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো শুরু হবে, হতে পারে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম বড় পরিবর্তনের সূচনা।