অবশেষে প্রকাশিত হল আগামী বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি। আর ঘোষণার সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে সীমান্ত–পেরোনো ক্রিকেট উত্তেজনার ঢেউ। ফেব্রুয়ারি–মার্চ জুড়ে চলা এই ক্রিকেট উৎসবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ভারত-পাক মহারণ (India vs Pakistan)। কিন্তু এবারের লড়াইয়ে রয়েছে এক বিশেষ মোড়।
বিশ্বকাপে ভারত থেকে বঞ্চিত বাংলা, এমন কি ঘটল?
রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও নিরাপত্তা ইস্যুর জেরে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় আইসিসি চালু করেছে ‘হাইব্রিড মডেল’। সেই অনুযায়ী পাকিস্তানের সব গ্রুপ-পর্বের ম্যাচ আয়োজন করা হবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি তারা সেমিফাইনালে উঠলেও সেখানেই খেলতে হবে। ফাইনালে ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি হলে? সেখানেও নিরপেক্ষ ভেন্যু।
এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন বেড়েছে নিরাপত্তাজনিত নিশ্চয়তা, তেমনি দেশ দুটির ক্রিকেটভক্তদের আবেগে লেগেছে নতুন টান। ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা, আবেগ, আবহ—আর এবার সেই আবহ ছড়িয়ে পড়বে কলম্বোর প্রিমেডাস স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলোয়।
ভারত তাদের অভিযান শুরু করবে ৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু সব নজর যে আটকে আছে ১৫ ফেব্রুয়ারিতেই, তা বলাই বাহুল্য। এদিন কলম্বোয় মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী। শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, হবে রাজনৈতিক তাপমাত্রা, প্রচার–ঝড় এবং আবেগের প্রবল ঢেউয়ের কেন্দ্রবিন্দু।
দুই দলের শেষ কয়েকটি মুখোমুখি লড়াইয়েও ভারতই ছিল আধিপত্যে, কিন্তু টি–২০ ফর্ম্যাটে পাকিস্তান সবসময়ই বিপজ্জনক। কলম্বোর আর্দ্র উইকেট, রাতের ডিউ ফ্যাক্টর এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুর মানসিক চাপ। সব মিলিয়ে হতে পারে অপ্রত্যাশিত রোমাঞ্চে ভরা।
ভারতীয় দলের গ্রুপ তুলনামূলক সহজ হলেও পাকিস্তান ম্যাচই টিম সূর্যকুমারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন অধিনায়ক হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের হবে প্রথম বিশ্বকাপ নেতৃত্ব। তার ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ও কৌশলী ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা লক্ষ লক্ষ চোখে।
পাকিস্তানও নতুন রূপে আসতে পারে। তাদের দল সাধারণত দক্ষ বোলিং আর অনির্দেশ্য ব্যাটিংয়ের সমন্বয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে সক্ষম। নিরপেক্ষ মাঠে তারা অতীতে ভালো খেলেছে, সেটিও ভারতের জন্য আলাদা সতর্কবার্তা।
দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যেখানে অমসৃণ। সেখানে শ্রীলঙ্কা তাদের কূটনৈতিক ভারসাম্য ও আতিথেয়তায় সাজাবে ভারতের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ম্যাচের মঞ্চ। গ্যালারিতে দুই দেশের পতাকা, কিন্তু গ্যালারিতে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
