ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অভিজ্ঞতা এবং কৌশলের দিক থেকে জসপ্রীত বুমরাহ দলের জন্য বড় সহায়ক। ভারতীয় পেসারকে নিয়ে তিনি বলেন, “বুমরাহ এই দেশে ক্রিকেট খেলার সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতার অধিকারী। তাই সমস্ত সহকর্মী তার সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতি নিতে পারে। তিনি খুবই ওপেন এবং সাহায্যপ্রবণ।”
সুর্যকুমার বলেন, “গত কয়েক বছরের ক্রিকেট খেলার ধরন এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে বুমরাহ সবসময় শীর্ষে রয়েছেন। তিনি জানেন কিভাবে একটি ভালো সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়।” ভারতীয় অধিনায়কের এই মন্তব্য বোঝায় যে বুমরাহ শুধু বোলিং দক্ষতায় নয়, দলের প্রস্তুতি ও মানসিক শক্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বুমরাহর রেকর্ড প্রশংসনীয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছয় ম্যাচে তিনি আটটি উইকেট নিয়েছেন। একদিনের ক্রিকেটে চার ম্যাচে ছয়টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা যায় টেস্ট ক্রিকেটে। ১২ টেস্টে বুমরাহ সংগ্রহ করেছেন ৬৪ উইকেট, যার মধ্যে চারটি ফাইভ-উইকেট হাউল রয়েছে।
প্রভসুখান গিলকে রেখেই চেন্নাইয়িন বধে নামছে ইস্টবেঙ্গল
সর্বমোট হিসাব করলে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বুমরাহ খেলেছেন ২২ ম্যাচে, যেখানে মোট ৭৮ উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ১৪ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলের জন্য বড় পাওয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩১ বছর বয়সী বুমরাহ সম্প্রতি ভারতের সাদা-বলের অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছেন এবং শুধুমাত্র পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবেন। তিনটি ওডিআইয়ে তাকে রাখা হয়নি, যা মূলত ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের অংশ। তবে শেষ টেস্ট সফরে তিনি ৩১ উইকেট নিয়ে উইকেট টেকিং চার্টে শীর্ষে ছিলেন, যেখানে তার অ্যাভারেজ ছিল ১৩.০৬।
সুর্যকুমার আরও বলেন, “যখন তিনি মাঠে নামবেন, তা দলের জন্য বড় শক্তি। অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গেলে তার উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই বড় প্রভাব ফেলবে।” ভারতীয় দলের স্পিন ও পেস কম্বিনেশন আরও শক্তিশালী হবে বুমরাহর অভিজ্ঞতার কারণে।
ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রয়েছেন: সুর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), অভিষেক শর্মা, শুভমন গিল (উপ-অধিনায়ক), তিলক বর্মা, নিতিশ কুমার রেড্ডি, শিবম ডুবে, আক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), রিঙ্কু সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।
এই সিরিজে বুমরাহর অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়ার কঠিন মাটিতে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার ধারাবাহিকতা এবং কৌশলগত পরামর্শ দলের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার সুযোগও তৈরি করবে।


