বিশ্বকাপ শেষ হলেই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা (Smriti Mandhana) জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। এই খবরে যেমন তাঁর ভক্তদের মধ্যে মিলেছে আনন্দের ঢেউ, তেমনই কেউ কেউ একটু আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছেন। তবে এবার আর গুজব নয়, খোদ পলাশ মুছল নিজেই স্বীকার করে নিলেন। খুব শীঘ্রই স্মৃতি হয়ে উঠছেন ‘ইন্দোরের বউমা’!
শুক্রবার ইন্দোর প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে, পেশায় গায়ক ও চলচ্চিত্র পরিচালক পলাশ মুছল জানান, “হ্যাঁ, খুব শীঘ্রই স্মৃতি আমার জীবনের স্থায়ী সঙ্গী হতে চলেছে। ও ইন্দোরের বউমা হতে চলেছে, এইটুকু বলতে পারি। হেডলাইন দিয়ে দিলাম।” তাঁর এই মন্তব্যে মিডিয়া মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
পলাশের এমন মন্তব্য সামনে আসতেই আলোচনায় আসে এই জুটির দীর্ঘ প্রেমের কাহিনি। সূত্র অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মহিলা বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রথমবার আলাপ হয় পলাশ ও স্মৃতির। বলিউডি প্রেমের মতোই, এক কনসার্টে স্মৃতিকে রোমান্টিক গান গেয়ে প্রেম প্রস্তাব দেন পলাশ। তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। যদিও দু’জনেই এতদিন পর্যন্ত প্রকাশ্যে এই সম্পর্কে কিছু বলেননি।
রোহিত-কোহলির ব্যর্থতার দিনে শুভমনের নেতৃত্বে লজ্জার হার ভারতের
তবে ২০২৪ সালে এই সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়। স্মৃতির জন্মদিনে পলাশ সোশ্যাল মিডিয়ায় রোমান্টিক পোস্ট করে সকলের সামনে তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। এরপর একাধিকবার তাঁদের একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেও পলাশের এক মিউজিক কনসার্টে হাজির ছিলেন স্মৃতি। সেখানেই নিজের হবু স্ত্রীকে উৎসর্গ করে গান গেয়েছিলেন পলাশ।
এই মুহূর্তে স্মৃতি ব্যস্ত মহিলা বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি, যা প্রমাণ করে দিচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনের খুশির মুহূর্তও মাঠের পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব ফেলছে না। বরং আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
বিশ্বকাপের আগে এমন এক ব্যক্তিগত ঘোষণায় একটু ব্যতিক্রমী চমক তৈরি হলেও, ভক্তদের কাছে এক রোমাঞ্চকর সংবাদ। পলাশের পরিবারের মধ্যে রয়েছেন তাঁর বোন পলক মুছল, নিজে একজন জনপ্রিয় বলিউড সঙ্গীতশিল্পী। অন্যদিকে পলাশ নিজেও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ও সিনেমার জগতে সফল নাম। বর্তমানে তিনি ‘রাজু বাজেওয়ালা’ নামে এক সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভীকা গোর ও চন্দন রায়।
খবরে আরও জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের শুরুতে স্মৃতি ও পলাশের চার হাত এক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নির্ভর করছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সূচি ও পলাশের সিনেমার কাজের ওপর। সময় বের করেই তাঁরা তাঁদের স্বপ্নের দিনটিকে বাস্তবে রূপ দিতে চান।