দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরই ইডেন গার্ডেনে হঠাৎ তৈরি হল উদ্বেগের আবহ। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় স্পিনারদের তোপে মাত্র ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা ধুঁকছে ঠিকই। কিন্তু মাঠের বাইরে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে দেখা গেল উত্তেজনা ও আকস্মিক তৎপরতা। পুলিশের উপস্থিতি বাড়ল, স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনা হল ড্রেসিংরুমের একেবারে পাশে। আর তারপরই স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হল ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলকে (Shubman Gill)।
১১ বছরের সম্পর্ক শেষ! নাইটদের ছাঁটাইয়ের তালিকায় নাম উঠল একাধিক তারকার
প্রথম ইনিংসে ঘাড়ে চোট পেয়ে অবসৃত হয়ে ফিরে যান গিল। ব্যথা কমাতে বিশ্রাম ও ওষুধ দেওয়া হলেও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। দিন শেষে তাই তাঁকে তড়িঘড়ি এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্ক্যান করানোর জন্য। দলের লিয়াঁজো ম্যানেজার আসিম মোমিন এবং সিএবির নির্ধারিত হাসপাতালে যুক্ত চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত তাঁর অবস্থার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা চলছে।কারণ ভারতীয় শিবিরের লক্ষ্য একটাই, দ্বিতীয় ইনিংসে কোনওভাবে তাঁকে ব্যাট করতে নামানো।
হাসপাতালে যাওয়ার আগেও ড্রেসিংরুমে নেক কলার পরেই বসেছিলেন গিল। নড়াচড়া করতেই কষ্ট হচ্ছিল। কাঁধে সেঁক দেওয়া হচ্ছিল, দেওয়া হয়েছিল ব্যথানাশক ওষুধও। তবুও যন্ত্রণায় তিনি ফিল্ডিং করতে পারেননি, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতেও পারেননি দ্বিতীয়বার। ড্রেসিংরুম থেকেই হতাশ চোখে সঙ্গীদের খেলা দেখেছেন অধিনায়ক।
এদিকে নিয়মও দাঁড়িয়ে আছে বড় বাধা হয়ে। গিলের চোট খেলার সময় না হওয়ায় তিনি ফিল্ডিং না করলে নির্দিষ্ট ব্যাটিং পজিশনেও নামতে পারবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে তিনি আড়াই ঘণ্টা ফিল্ডিং করেননি। রবিবার যদি প্রোটিয়া ব্যাটাররা আরও আধঘণ্টা টিকে যান, তাহলে গিলকে তিন ঘণ্টা ব্যাটিংয়ে নামতে অপেক্ষা করতে হবে। ফলে তাঁর চার নম্বরে নামা কার্যত অসম্ভব হবে। ভারত যদি দ্রুত উইকেট হারায়, সেক্ষেত্রে তাঁকে সাত নম্বর পজিশনে নেমে ব্যাট করতে হবে।
ভারতীয় শিবিরের উদ্বেগ তাই চরমে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ৬৩ রান। হাতে এখনও তিন উইকেট, ক্রিজে রয়েছেন তেম্বা বাভুমা। যদি ভারতকে ১০০ রানের মতো তাড়া করতে হয়, এই কঠিন পিচে শুভমন গিলের ব্যাটিং অপরিহার্য হয়ে উঠবে। প্রশ্ন একটাই সংকটের মুহূর্তে কি মাঠে ফিরতে পারবেন ভারত অধিনায়ক? এখন সব তাকানো তাঁর স্ক্যান রিপোর্ট ও চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের দিকে।


