১৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০২৫ সালে অবশেষে নিজেদের প্রথম আইপিএল ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। তবে সেই গৌরবের পরেই দল এখন তৈরি হচ্ছে আরও শক্তিশালীভাবে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। আইপিএল ২০২৬ (IPL 2026) সিজনের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজির রিলিজড ক্রিকেটারের তালিকায় থাকতে পারে বড় ও চমকপ্রদ নাম।
লিয়াম লিভিংস্টোন
ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার ছিলেন আরসিবির অন্যতম দামী সাইনিং, ৮.৭৫ কোটি টাকায়। কিন্তু পারফরম্যান্সে তিনি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ১০ ম্যাচে মাত্র ১১২ রান (গড় ১৬.০০) এবং ২ উইকেট। কোনোভাবেই তার মূল্য অনুযায়ী নয়। মাঝ-মরশুমে বাদ পড়লেও টিম ডেভিডের ইনজুরিতে ফের দলে এলেও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন লিভিংস্টোন।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল
দেবদত্ত পাডিক্কলের ইনজুরির কারণে বদলি হিসেবে আসা মায়াঙ্ক খেলেছেন ৪ ম্যাচ, করেছেন ৯৪ রান (স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৪৩)। ভালো সূচনা সত্ত্বেও পাডিক্কলের প্রত্যাবর্তনে আগামী সিজনে তার জায়গা ফাঁকা করে দিতে হয়েছে।
লুঙ্গি এনগিডি
দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসারকে ১ কোটিতে দলে নিয়েছিল আরসিবি। ২ ম্যাচে ৪ উইকেট নিলেও ১০.১২ ইকোনমি রেটে ব্যয়বহুল হয়ে পড়েন এনগিডি। দলে একাধিক গতিময় পেসার থাকায় তার সুযোগও সীমিত ছিল।
রাসিখ সালাম দার
জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ পেসারকে আরসিবি নিয়েছিল ৬ কোটিতে। কিন্তু তিনি খেলেছেন মাত্র ২ ম্যাচ। শক্তিশালী পেস আক্রমণের মাঝে রাসিখের জন্য জায়গা তৈরি হয়নি, ফলে তাকে ছেড়ে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
স্বপ্নিল সিং
বামহাতি স্পিনার স্বপ্নিল সিং গত মৌসুমে একটিও ম্যাচ খেলেননি। ৫০ লক্ষ টাকায় আরটিএম (Right to Match) দিয়ে রিটেইন করা হলেও ২০২৬ জন্য তার মুক্তি শুধুমাত্রসময়ের অপেক্ষা।
২০২৫ সালের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়ের পরও দল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আত্মতুষ্টি নয়, লক্ষ্য ধারাবাহিক সাফল্য। তাই কম পারফর্ম করা ও বেঞ্চে বসা খেলোয়াড়দের ছাড়ার মাধ্যমে বাজেট খুলে দিয়েছে তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজির ফোকাস এখন নতুন প্রতিভা, বহুমুখী অলরাউন্ডার এবং স্কোয়াড ব্যালান্স মজবুত করা নিয়ে।
আরসিবি ম্যানেজমেন্টের এক সূত্র জানিয়েছে, “এই দল এখন চ্যাম্পিয়নদের মতোই পরিকল্পনা করছে। আমরা চাই ২০২৬ একই ধারায় এগিয়ে যেতে। আরও শক্তিশালী, আরও বুদ্ধিদীপ্তভাবে।”


