৫ উইকেট! রেলকে লাইনচ্যুত করে ৭ পয়েন্ট ঘরে তুলতে মরিয়া বাংলা

ranji-trophy-2025-bengal-vs-railway-match-report

রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2025) দারুণ ছন্দে ছুটছে বাংলা। শাহবাজ আহমেদ, মহম্মদ কাইফ ও রাহুল প্রসাদের দুরন্ত বোলিংয়ে রেলওয়েজকে ফলোঅন করিয়েছে বাংলার বোলাররা। এখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কার্যত পুরোপুরি বাংলার হাতে। শেষ দিনে ইনিংসে জয় কিংবা ১০ উইকেটে জয়। দুই সম্ভাবনাই খোলা। আর তাতেই ৭ পয়েন্টের স্বপ্ন আরও বাস্তব হয়ে উঠছে সুদীপ কুমার ঘরামির দলের সামনে।

Advertisements

বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল বিশাল ৪৭৪ রান। অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি (০) ও নবাগত আদিত্য পুরোহিত (৬) ব্যর্থতার পর ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দল। সেই সময় দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ও অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। তাঁদের ১৩৪ রানের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলা। শাহবাজ ১০৬ বলে ঝোড়ো ৮৬ রান করে আউট হন, আর অনুষ্টুপ খেলেন ১৩৫ রানের অনবদ্য ইনিংস। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন সুমন্ত গুপ্ত (১২০)। শেষ দিকে রাহুল প্রসাদ (৪০) ও বিশাল ভাটির (৩৬) হাত ধরে রানের পাহাড় দাঁড় করায় বাংলা।

   

রেলওয়েজের জবাব ছিল তুলনামূলকভাবে দুর্বল। দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের স্কোর ৫ উইকেটে ৯৭। তৃতীয় দিনে অবশ্য ভার্গব মেরাই ও উপেন্দ্র যাদব মিলে লড়াইয়ের আভাস দেন। তাঁদের ২০০ পার্টনারশিপে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলা শিবির। কিন্তু উপেন্দ্র (৭০) মহম্মদ কাইফের বলে ফিরতেই রেলওয়েজের ইনিংস ধস নামে। ২০৩ রানে ৫ উইকেট থেকে মুহূর্তেই ২২২ রানে অলআউট। ভার্গবকে (৯১) ফেরান রাহুল প্রসাদ। তিনিই ও কাইফ নেন ২টি করে উইকেট।

২৫২ রানে পিছিয়ে থাকা রেলওয়েজকে ফলোঅন করায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরু থেকেই রেলওয়েজ ব্যাটাররা বিপাকে। তৃতীয় দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান। এখনো পিছিয়ে ১৬২ রানে। হাতে আছে শুধু শেষ দিন। ব্যাট করছেন আগের ইনিংসের দুই ভরসা, ভার্গব (২০*) ও উপেন্দ্র (১২*)।

Advertisements

বাংলা শিবির এখন আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত। ইনিংসে জয় মানেই ৭ পয়েন্ট, রঞ্জি ট্রফির নকআউটে যাওয়ার দৌড়ে বিশাল সুবিধা এনে দেবে। শেষ দিনের সকালেই যদি শাহবাজ-কাইফদের ঘূর্ণিতে রেলওয়েজকে গুটিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সেই সম্ভাবনা অটুট থাকবে।

রঞ্জির মঞ্চে নতুন উদ্যমে ঝলমল করছে বাংলা। শাহবাজ-কাইফদের আগুনে স্পেল, অনুষ্টুপ-সুমন্তদের ব্যাটে রান। সব মিলিয়ে ঘরামিরা রঞ্জির অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে এসেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।