রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2025) গুরুত্বপূর্ণ ‘সাত পয়েন্টের ম্যাচে’ সুযোগ তৈরি করেও শেষ রক্ষা হলো না বাংলার। কল্যাণীর মাটিতে শেষ দিনে মাত্র এক উইকেট তুললেই ৭ পয়েন্ট মিলত অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। কিন্তু অসমের জেদি ব্যাটিংয়ের সামনে সেই আশা বাস্তবায়িত হল না। প্রথম ইনিংসে লিড থাকায় ৩ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে। অথচ এ রকম পয়েন্ট নষ্ট ভবিষ্যতে প্লে-অফের সমীকরণে বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ODI সিরিজের আগে বড় ধাক্কা রোহিতের
ম্যাচের শুরুতেই শাহবাজ আহমেদ ও সুমন্ত গুপ্তর ধৈর্যশীল ব্যাটিং। পরে মহম্মদ শামির ধ্বংসাত্মক স্পেল। সব মিলিয়ে তৃতীয় দিনের শেষে ম্যাচ ছিল বাংলার নিয়ন্ত্রণে। প্রথম ইনিংসে অসম মাত্র ২০০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলা তোলে ৪৪২। দ্বিতীয় ইনিংসেও তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেটে ৯৮ তে আটকে ছিল অসম।
কিন্তু চতুর্থ দিনে চিত্র বদলে যায় ডেনিশ দাস ও সুমিত ঘড়িগাঁওকরের লড়াকু মনোভাবে। ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও তাঁরা গড়েন ১১১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সকালের সেশনে ডেনিশকে ফিরিয়ে আশার আলো দেখা দিলেও ঘড়িগাঁওকরের অবিচল ব্যাটে বাংলার বোলাররা বুঝলেন, জয় সহজ হবে না।
২২২ বল মোকাবিলা করে ৬৭ রান করেন অসম অধিনায়ক ঘড়িগাঁওকর। তাঁর ব্যাটিংই মূলত ম্যাচ বাঁচানোর ভিত গড়ে দেয়। শাহবাজ যদিও তাঁকে ফিরিয়ে ম্যাচে নাটকীয়তার আভাস এনে দিয়েছিলেন, কিন্তু অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সময়ও ফুরিয়ে যাচ্ছিল।
উইকেট ভাঙার দায়ে ICC শাস্তির কোপে তারকা পাক ক্রিকেটার
এক পর্যায়ে টানা ১৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান তুলেছিল অসম। সেসময় বোঝাই যাচ্ছিল, ম্যাচ বাঁচাতেই মরিয়া হয়ে ছিল উত্তর-পূর্বের দল। শিবশঙ্কর রায়, আকাশ সেনগুপ্ত কিংবা আয়ুষ্মান মালাকার কেউই বড় রান করতে না পারলেও পর্যাপ্ত সময় খরচ করে দেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ন’নম্বরে নেমে ৬৮ বলে ২৩ রানে আবদুল আজিজ কুরেশি এবং ১১ নম্বরে মুখতার হুসেন ২৪ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থেকে দিনটা অসমের করে দেন।
চতুর্থ দিনে একাই চার উইকেট তুলে লড়াই জমিয়ে দেন শাহবাজ। শামি শুরুতে দুই উইকেট নিলেও পরে ২৭ ওভার বল করে আর কোনও সাফল্য পাননি। রাহুল প্রসাদ ও ঈশান পোড়েলের উইকেট সত্ত্বেও মিলল না কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু। শেষে যখন অসমের স্কোর ৯ উইকেটে ২৮২, তখন ৪০ রানে এগিয়ে থাকায় ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ফলে প্রথম ইনিংস লিডের সুবাদে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাকে।
উত্তাল বাংলাদেশে পরিস্থিতে হেনস্থার শিকার ভারতীয় দল
এর আগেও ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সুবিধাজনক জায়গা থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলা। এবার আবার অসমের বিরুদ্ধে হাতছাড়া হলো সহজ সুযোগ। এমন ম্যাচগুলোতে পয়েন্ট নষ্ট হলে রঞ্জির শেষ পর্যায়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাংলার জন্য।


