ত্রিপুরার মাটিতে বৃষ্টির কারণে সময় হারানোর পরও রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2025) উত্তেজনা কমেনি। মহম্মদ কাইফের দাপুটে বোলিং স্পেলে ত্রিপুরার শুরুতে বড় ধাক্কা খেলেও তৃতীয় দিনের শেষে দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ত্রিপুরার হনুমা বিহারি।
বাংলার ইনিংস শুরু হয়েছিল শক্তিশালীভাবে। ১ উইকেটে ২১৩ রানের ভিত্তিতে দল পৌঁছেছিল ৩৩৬ রানে। কিন্তু শুরুতেই মণিশঙ্কর মুরাসিংহের বলে ৪০ রানে শাহবাজ আহমেদের বিদায়ের সঙ্গে বাংলার রানের গতি থেমে যায়। ত্রিপুরার বোলারদের মধ্যে মুরাসিংহ ও রানা দত্ত নেন ৩টি করে উইকেট, বিক্রমকুমার দাস নেন ২টি। বাকি উইকেট ভাগ করে নেন অভিজিৎ সরকার ও স্বপ্নিল সিং।
তৃতীয় দিনে জবাবে ত্রিপুরা শুরুতে একঝাঁক উইকেট হারায়। কাইফের দাপটে ৫৩ রানে ৫ উইকেট খোয়ায় মুরাসিংহের দল। এরপর সেন্টু সরকারের সঙ্গে হনুমা বিহারি কার্যত দলের রুখে দাঁড়ানোর কাজ করেন। বিজয় শঙ্করের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ার পর অধিনায়ক মুরারিসিংহের সঙ্গে অপরাজিত ৭৩ রানের পার্টনারশিপের মাধ্যমে ত্রিপুরা দিনের শেষে ৭ উইকেটে ২৭৩ রান সংগ্রহ করে।
বাংলার পেস আক্রমণ ত্রিপুরার ব্যাটসম্যানদের থামাতে ব্যর্থ হয়, বিশেষ করে মহম্মদ শামি ১৯ ওভার বল করেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি। কাইফ নেন ৪ উইকেট, বাকি ৩টি শিকার আসে ঈশান পোড়েল, শাহবাজ ও রাহুল প্রসাদের নামে।
বৃষ্টি ও দিনগুলোর সময় ক্ষতির কারণে বাংলার বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ কমে গিয়েছে। এখন চতুর্থ দিনে ত্রিপুরার অবশিষ্ট উইকেট দ্রুত ফেলতে না পারলে বাংলার জন্য জয়ের রাস্তা কঠিন হয়ে যাবে। ম্যাচের রূপরেখা এমন যে, প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য। লিড পেলে বাংলার দখলে ৩ পয়েন্ট, পিছিয়ে থাকা দল পাবে ১ পয়েন্ট।
ত্রিপুরার বিপক্ষে হনুমা বিহারির লড়াই, বাংলার ব্যাটসম্যানদের অবদান এবং কাইফের চমৎকার বোলিং এই ম্যাচকে পুরোপুরি অনিশ্চিত করে তুলেছে। কে শেষ পর্যন্ত ৩ পয়েন্টের মালিক হবে, তা চতুর্থ দিনের খেলার শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট হবে।


