ফুটবলের দলবদলের মতোই ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে IPL প্লেয়ার ট্রেডিং। ২০২৬ নিলামের (IPL 2026) আগে প্রতিটি দলই নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী স্কোয়াড সাজাতে ব্যস্ত। তার মধ্যেই সবচেয়ে সক্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির একটি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধু নিলামের টেবিলে নয়, ট্রেডিং মার্কেটেও যে তারা নজর কাড়তে চায়, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, IPLপ্লেয়ার ট্রেডিং শুরু করেছিল তারাই। গুজরাট টাইটান্স থেকে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক হিসেবে দলে ফিরিয়ে এনে নজির গড়েছিল মুম্বই। এ বার নজরে আর এক পুরনো মুখ, মায়াঙ্ক মারকান্ডে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, KKR তরুণ লেগ স্পিনার মায়াঙ্ক মারকান্ডেকে দলে নিতেই আগ্রহী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইতিমধ্যেই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে বহুদিন পর নিজের প্রথম IPL দলের রঙে ফিরবেন পাঞ্জাবের এই স্পিনার।
২০১৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েই IPLঅভিষেক হয়েছিল মারকান্ডের। প্রথম মরশুমেই ১৪ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে তিনি নজর কেড়েছিলেন। সেই পারফরম্যান্স তাঁকে জাতীয় দলের দরজায় নিয়ে যায়। তবে ২০১৯ সালে ফর্মের খামতি এবং দলের কম্বিনেশন বদলাতে হতে তাঁকে পিছিয়ে যেতে হয়। রাহুল চাহার দলে জায়গা করে নেওয়ার পর মারকান্ডে দ্বিতীয় বিকল্পে পরিণত হন।
২০২৫ মরশুমে আগে মায়াঙ্ককে ৩০ লাখ টাকায় দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু পুরো সিজন জুড়ে তাঁকে একবারও মাঠে নামায়নি দল। ফলে ২০২৬ নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই সম্ভবত নিচ্ছে KKR।
সম্প্রতি খবর এসেছিল, লখনউ সুপার জায়ান্টস থেকে শার্দূল ঠাকুরকে দলে নেওয়ার পথে রয়েছে মুম্বই। সেই সঙ্গে আছে অর্জুন তেন্ডুলকরের দল ছাড়ার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে মায়াঙ্ককে নিয়ে আলোচনা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু মারকান্ডে নয়, মুম্বইয়ের নজরে রয়েছে রাহুল চাহারও। গত নিলামে ৩.২ কোটিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সারা সিজন মাত্র একটি ম্যাচই খেলেছেন। ফলে তাঁকে আবার মুম্বইয়ের নীল–সোনার জার্সিতে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এখনও পরিষ্কার নয়, মারকান্ডেকে ট্রেড করলে তা অর্থের বিনিময়ে হবে নাকি প্লেয়ারের বদল। তবে মুম্বইয়ের স্পিন বিভাগ শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। মিনি নিলামের আগে ট্রেডিং মার্কেটে যে উত্তাপ বাড়ছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই পরিকল্পনা তা আরও কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দিল। এখন নজর শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিকে।


