আইপিএলে (IPL 2026) অধিনায়কত্ব অনেকের কাছে সম্মান আর দায়িত্বের প্রতীক। সেটাকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকেও কঠিন বলে মনে করেন কেএল রাহুল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য নতুন করে আলোচনায় এনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস’র প্রাক্তন কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে।
নিলামের আগে এই তারকাকে কোচের দায়িত্ব দিয়ে চমক রাজস্থানের
দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা ব্যাটার রাহুল বলেন, আইপিএলে অধিনায়ক হওয়ার সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা হল লাগাতার মিটিং। তিনি বলেন, “মালিকদের বোঝানোই সবচেয়ে ক্লান্তিকর। কী চলছে, কেন চলছে এসব ব্যাখ্যা করতেই শক্তি খরচ হয়ে যায়। আইপিএলের শেষে আমি এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, যতটা ১০ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেও হই না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আইপিএলে প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কেন এই ব্যাটসম্যান? কেন ওই বোলার? কেন রান কম হল? মাঠে কী ঘটতে পারে, তা যারা আগে কখনও খেলেননি, তাঁদের বোঝানো খুবই কঠিন।”
নিলামে কাদের চাইছে শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি? সামনে এল রিপোর্ট কার্ড!
২০২৪ সালে আইপিএলের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার প্রকাশ্য ক্ষোভপ্রকাশ। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক রাহুলকে তিরস্কার—সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই দৃশ্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে নৈশভোজে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন গোয়েঙ্কা। কলকাতায় দু’জনের দেখা হলেও সম্পর্ক আর মসৃণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাহুল লখনউ ছাড়লে তাকে দলে ভিড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
রাসেলকে নিতে মরিয়া বড় দল, পাল্টা এই পেসারকে চাইছে KKR!
সাক্ষাৎকারে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য অনেকের কাছেই লখনউ-কালীন অভিজ্ঞতার প্রতিধ্বনি মনে হয়েছে। ক্রিকেট-বহির্ভূত মালিকদের সিদ্ধান্তে অনধিকার হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত কি তিনি দিচ্ছেন? অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশের ব্যাখ্যা তাই। ভর্তি গ্যালারি, কোটি কোটি বিনিয়োগ, প্রতিদিনের স্ক্রুটিনি। আইপিএল নিজেই এক আলাদা মানসিক যুদ্ধক্ষেত্র। রাহুলের কথায় সেই চাপের আবহই স্পষ্ট। কিন্তু এই মন্তব্য কি নতুন বিতর্ক ডেকে আনবে? ক্রিকেট মহলের নজর এখন সেই দিকেই।


