শুভমন গিলকে (Shubman Gill) এশিয়া কাপে দলে চাওয়া নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। জানা যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব নাকি গিলকে পুরো স্কোয়াডেই দেখতে চাননি। অথচ শেষ পর্যন্ত গিল শুধু দলে ঢুকলেনই না, সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও পেলেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে সিদ্ধান্ত কার? আর এর পিছনে কি কোনও শক্তিশালী ‘ক্রিকেট রাজনীতি’ কাজ করেছে?
সূত্রের খবর, গিলের নির্বাচন নিয়ে সূর্য শুরু থেকেই সাপে-নেউলে ছিলেন। তিনি নাকি আক্রমণাত্মক ব্যাটারদের পক্ষে ছিলেন, যারা পাওয়ারপ্লেতেই গতি আনতে পারেন। গিল, স্বাভাবিকভাবেই ক্লাসিক টেম্পোতে ইনিংস গড়েন। এটা সম্ভবত সূর্যের আক্রমণাত্মক টি-টোয়েন্টি পরিকল্পনায় খাপ খায়নি।
তবে শেষ কথা বলেন কোচ গৌতম গম্ভীর এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। তাঁদের মতে, গিল ভবিষ্যতের অল ফরম্যাট লিডার। তাই তাঁকে দলে রাখা এবং সহ-অধিনায়ক হিসেবে প্রস্তুত করাই যুক্তিযুক্ত। এমনকি শোনা যাচ্ছে, দলে ঘোষণা হওয়ার কিছুক্ষন আগেই গিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সূর্যকে জানানো হয়েছিল।
সৌরভকে ‘বেহালার বেহায়া’ বলে বেলাগাম তথাগত
এশিয়া কাপে গিল সেভাবে ছন্দে ছিলেন না। সাত ইনিংসে মাত্র ১২৭ রান। যদিও অভিষেক শর্মার সঙ্গে কিছু ঝোড়ো ওপেনিং জুটি তৈরি করেন। এর প্রভাবে সঞ্জু স্যামসনকে নিচে নামতে হয়, আর রিঙ্কু সিং প্রথম একাদশেই জায়গা পাননি।
এই পটভূমিতে ক্রিকেট মহলের একাংশ বলছে, সূর্যের নিজের পারফরম্যান্সও চাপের মুখে। অধিনায়কত্বের পর থেকেই তাঁর ব্যাটে ধার কমেছে। তাই গিলের নেতৃত্বগুণ এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাঁকেই ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলতে পারে।
সূর্য নিজে অবশ্য বিষয়টি লঘু করে দেখাতে চান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি খুশি গিল এখন দুটি ফরম্যাটে অধিনায়ক। ওর নেতৃত্বে অনেক গুণ আছে। ভয় থাকেই, কিন্তু সেই ভয়ই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।”
সব মিলিয়ে, ভারতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্ব ঘিরে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ড্রেসিংরুমের সিদ্ধান্ত, সম্পর্ক এবং শক্তির ভারসাম্য সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।