রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে নাটকের কোনও কমতি ছিল না। বাংলাদেশ এবং ভারতের (Indian Cricket Team) মধ্যে চলা দুই ইনিংসের উত্তেজনা শেষে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল কৌশলের কারণে ভারত বিদায় নেয়, আর সেটি ঘিরে উঠে নানা প্রশ্ন। বিশেষ করে সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে বৈভব সূর্যবংশীকে না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা তীব্র।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৯৪/৬ রান। ভারতের ইনিংসও সমান স্কোরে শেষ হয়। তবে সুপার ওভারে ভারত কোনো রান করতে পারেনি, আর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বলে মাত্র এক রান নিয়ে ম্যাচ জিতে যায়।
টসে জিতে ভারতের অধিনায়ক জিতেশ শর্মা বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান। শুরুতে মনে হচ্ছিল ভারতের সিদ্ধান্ত ভুল, কারণ ওপেনাররা স্বচ্ছন্দভাবে খেলে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের ওপেনারদের নিরবিচ্ছিন্ন আক্রমণ, প্রতি ওভারে দ্রুত রান, ভারতের বোলারদের চাপের মুখে ফেলছিল।
আইপিএলে ‘নিয়মরক্ষা’র নিলাম! রইল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হাস্যকৌতুক গল্প
তবে ভারতের স্পিন বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং কিছুটা পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করেছিল। হাবিবুর রহমানের উল্লাসজনক ইনিংসের বিপরীতে বাংলাদেশের রান রেটে ধীর গতি আনা সম্ভব হয়। শেষের দুই ওভারে মেহেরোব, বিজয়কুমার এবং অন্যান্য ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ফলে বাংলাদেশ শেষ ১৯৪ রানে পৌঁছায়।
১৯৫ রানের সহজ লক্ষ্য মনে হলেও ভারতের শুরুটা দারুণ। বৈভব সূর্যবংশী খোলার ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখালেও, চতুর্থ ওভারেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান (৩৮ রান)। এরপর প্রিয়াংশ আর্য, জিতেশ শর্মা এবং নেহাল ওয়াধের চেষ্টা করলেও শেষ মুহূর্তের চাপ সামলাতে পারেননি। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান। আশুতোষ শর্মার ছক্কা এবং ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুলের পরও ভারত শেষ মুহূর্তে সফল হতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
নিয়ম অনুযায়ী সুপার ওভারে আগে ব্যাট করা ভারতের। এই মুহূর্তে দলের আশা ছিল, বৈভব বড় রানের ইনিংস খেলে ভারতের সম্ভাব্য জয় নিশ্চিত করবেন। কিন্তু হঠাৎ করে জিতেশ শর্মা এবং রমনদীপকে নামানো হয়। প্রথম দুই বলে দু’উইকেট হারায় ভারত, কোনো রান তুলতে না পেরে বাংলাদেশ সহজ জয় নিশ্চিত করে।
এই সিদ্ধান্তের পর ক্রিকেট মহল প্রশ্ন তুলেছে, যে ব্যাটসম্যান পুরো টুর্নামেন্টে ফর্মে ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই ম্যাচের শুরুতে ঝলক দেখিয়েছেন, কেন তাঁকে সুপার ওভারে নামানো হলো না। ম্যাচ শেষে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এবং ভক্তরা উভয়েই ভারতের অধিনায়কের এই কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে, যেখানে বৈভবকে সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ম্যাচের মূল মোড় ঘুরানোর কারণ হিসেবে আনা হয়েছে।
A close encounter in the semi-final, but it is Bangladesh A who win the super over.
Scorecard ▶️ https://t.co/WCP3ww9Ocy #RisingStarsAsiaCup pic.twitter.com/c6R8aSFIki
— BCCI (@BCCI) November 21, 2025


