চোখ কপালে ভক্তদের! বিশ্বজয়ের স্মৃতি চিরস্থায়ী করতে একী করলেন প্রীত-স্মৃতি

india-women-cricket-world-cup-tattoo-celebration-of-harmanpreet-kaur-smriti-mandhana

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের (Cricket) ইতিহাসে ২০২৫ সালের ২ নভেম্বরের দিনটি চিরস্মরণীয়। মুম্বইয়ের ডি.ওয়াই. পাটিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতীয় দল। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের রেশ এখনও টাটকা। সেই উত্তেজনা ও গর্বকে আরও একধাপ ব্যক্তিগতভাবে উদযাপন করলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। শরীরে আঁকিয়ে নিলেন বিজয়ের প্রতীকী চিহ্ন।

Advertisements

শেষ মুহূর্তের নাটক, কোন হিসাবে কেরালাকে টেক্কা দিয়ে সুপার সেমিতে মুম্বই?

   

দুই তারকা সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিখ্যাত Aliens Tattoo Studio-তে গিয়ে তাঁদের নতুন ট্যাটু করান। এই ট্যাটুগুলিতে ফুটে উঠেছে দলের যাত্রাপথ, সংগ্রাম, ও অবশেষে বিশ্বজয়ের অনুভূতি। স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সানি ভানুশালী জানালেন, “এটি কেবল ট্যাটু নয়, এক একটি গল্প এবং আবেগ।”

বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক পরদিন, মঙ্গলবার রাত ২টায় হরমনপ্রীত পৌঁছন স্টুডিওতে। ভানুশালী বলেন, “ওই রাতটা ছিল আবেগে ভরা। হরমনপ্রীত সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর ভাবনা জানিয়েছিলেন। তিনি এমন এক ডিজাইন চেয়েছিলেন যা প্রতিফলিত করবে বিশ্বাস, অধ্যবসায় ও গর্ব।”

Advertisements

হরমনপ্রীত এর আগে ২০২৪ সালের জুন মাসেও Aliens Tattoo-তে এসেছিলেন। তখন তিনি করিয়েছিলেন একটি জ্যামিতিক মণ্ডল ডিজাইন, যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সংস্কৃত মন্ত্র ‘অহং ব্রহ্মাস্মি’, অর্থাৎ “আমি নিজেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।” এবারের ট্যাটু সেই যাত্রারই পরবর্তী অধ্যায়, যেখানে সংযোজিত হয়েছে তাঁর বিশ্বজয়ের প্রতীক।

ট্যাটু সম্পূর্ণ হওয়ার পর স্টুডিও জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল উদযাপনের আবহ। “হরমনপ্রীতের মুখে তখন যে গর্ব ও তৃপ্তির হাসি ছিল, সেটিই ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার,” স্মরণ করেন ভানুশালী।

ট্যাটু শেষে হারমনপ্রীত কিছুক্ষণ স্টুডিও টিমের সঙ্গে কাটান, ছবি তোলেন, গল্প করেন। আগেরবারের সফরে তিনি স্টুডিওর জন্য নিজের সই করা ক্রিকেট ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন। আজও Aliens Tattoo-র দেয়ালে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।