অজিদের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (India vs Australia) ১৬৭ রানের স্বল্প লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারত জিতেছে ৪৮ রানে। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে সূর্যকুমার যাদবরা।
ভারতের ব্যাটাররা যদিও তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি, তবে বোলাররা পুরোপুরি ম্যাচের ধারা বদলে দিয়েছেন। অর্শদীপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী ও শিবম দুবেরার নিয়ন্ত্রিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ ভাঙা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে অক্ষর প্যাটেলের জোরাজুরি এবং স্মার্ট বোলিং নজর কাড়েছে। শেষ পর্যায়ে ওয়াশিংটন সুন্দরও উইকেট তুলে ম্যাচ নিশ্চিত করেছেন।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৮ উইকেটে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে। শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে সমস্যায় পড়ে ভারত। শুভমন গিল এবং অভিষেক যাদবকে মন্থর পিচে খেলার সময় সমস্যা হচ্ছিল। গোল্ড কোস্টের বড় মাঠ এবং অসমান বাউন্সে শুরুতে ব্যাটাররা আগ্রাসীভাবে খেলতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে স্টোইনিসের লাফানো বলের কারণে অভিষেককে হেলমেট দিয়ে আঘাত পেয়ে কনকাশন পরীক্ষা করাতে হয়।
Washington Sundar wraps things up in style 👌
A terrific performance from #TeamIndia as they win the 4⃣th T20I by 4⃣8⃣ runs. 👏👏
They now have a 2⃣-1⃣ lead in the #AUSvIND T20I series with 1⃣ match to play. 🙌
Scorecard ▶ https://t.co/OYJNZ57GLX pic.twitter.com/QLh2SRqW9U
— BCCI (@BCCI) November 6, 2025
এরপরও পাওয়ার প্লে-তে প্রায় ৫০ রান ওঠে। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে পরীক্ষামূলক পরিবর্তন সফল হয়নি। শিবম দুবেরা, সূর্যকুমার যাদব ও তিলক বর্মার ব্যাটিং যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়নি। শিবম ১৮ বল খেলে ২২ রান করেন, সূর্য ২০ রান সংগ্রহ করেন, তিলক ৫ রান ও জিতেশ শর্মা ৫ রান করে আউট হন। অক্ষর প্যাটেল ১১ বল খেলে ২১ রান করেন, যা দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তবে তার বোলিং পুরো ম্যাচে ভারসাম্য রেখেছে।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ধীর ছিল, তবে তৃতীয় ওভার থেকে আক্রমণ শুরু করে তারা। অর্শদীপ সিং এবং বরুণ চক্রবর্তী যথাযথভাবে উইকেট নিয়েছেন। বিশেষ করে অক্ষর প্যাটেলের রিভিউ গ্রহণ এবং সঠিক বলের জোরে ম্যাথু শর্ট ও জশ ইংলিসকে আউট করা ভারতীয় জয়ের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়। মার্শ ও টিম ডেভিডরাও চেষ্টা করেছেন, তবে প্রতিটি ওভারেই চাপের মুখে পড়ে তারা ব্যর্থ হন।
ওয়াশিংটন ও জসপ্রীত বুমরাহর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং অস্ট্রেলিয়ার ফিরতি পথ বন্ধ করে দেয়। ১৯তম ওভারে অ্যাডাম জ়াম্পার আউটের মাধ্যমে ভারত নিশ্চিত করে জয়। এই জয়ের ফলে ভারতের মনোবল বেড়েছে, এবং পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অজিদের বিরুদ্ধে তারা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।
তবে ভারতকে ভাবাবে ব্যাটিং অর্ডারের পরীক্ষামূলক পরিবর্তন ও ব্যাটারদের অনিশ্চিততা। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে দলের কাঠামো তৈরি হওয়া দরকার। এই ম্যাচে বোলারদের অবদান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে স্বল্প রানেই ভারত জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচ হবে শনিবার ব্রিসবেনে, যেখানে ভারতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ হবে।
গোল্ড কোস্টে ভারত প্রথমবার খেললেও পিচের অজানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বোলাররা জয় এনে দিয়েছে। প্রতিটি বলের বৈচিত্র এবং নিয়ন্ত্রণ ভারতীয় বোলারদের দক্ষতার প্রতিফলন। ব্যাটাররা যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে সফল হননি, তবে দলীয় সমন্বয়ে ভারত জয়ী হয়েছে।


